ব্যাংক-কোম্পানির তহবিলের ব্যবহার নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ব্যাংক-কোম্পানির তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে ব্যাংকসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে সম্পাদিত লেনদেন সুস্পষ্ট নীতিমালার আওতায় আনতে নতুন নির্দেশনা প্রদান করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রবিবার এক সার্কুলারের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর প্রতি এই নির্দেশনা প্রদান করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংক-কোম্পানি কর্তৃক নিজ ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বা তাদের স্বার্থের অনুকূলে প্রদত্ত প্রত্যক্ষ ঋণ-সুবিধার মোট পরিমাণ উক্ত ব্যাংক-কোম্পানির টিয়ার-১ মূলধনের শতকরা ১০ ভাগের বেশী হবে না। যে সব প্রত্যক্ষ ঋণসুবিধার বিপরীতে নগদ অর্থ ও নগদায়ণযোগ্য জামানত রয়েছে সে সব ঋণসুবিধার ক্ষেত্রে উক্তরূপ জামানত বাদ দিয়ে নিরূপিত অর্থই প্রকৃত ঋণসুবিধা হিসেবে গণ্য হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, পরিচালক ও তার উক্তরূপ স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রদত্ত ঋণ ও অগ্রিম, গ্যারান্টি এবং অন্যান্য ঋণসুবিধার মোট পরিমাণ এই সার্কুলার কার্যকর হওয়ার তারিখে উক্ত পরিচালকের ধারণকৃত ব্যাংকের শেয়ারের পরিশোধিত মূল্যের ৫০% এর অধিক হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা পর্ষদে উপস্থাপন করতে হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদকালের মধ্যে পরিচালকের প্রাপ্যতার অতিরিক্ত সুবিধা পরিশোধ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই উক্ত ৫০% সীমার অধিক ঋণ ও অগ্রিম, গ্যারান্টি এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধার নবায়ন বা এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরিচালক, তার একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, তার অংশীদারীত্বে পরিচালিত ফার্ম, তিনি পরিচালক হিসেবে অধিষ্ঠিত আছেন এরূপ প্রাইভেট কোম্পানি ও পাবলিক কোম্পানি, জামিনদাতা হিসেবে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, এবং পরিচালকের স্ত্রী, স্বামী, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই, বোন এবং পরিচালকের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির অনুকূলে সকল প্রকার ঋণসুবিধা, গ্যারান্টি এবং অন্য কোনো আর্থিক সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সংখ্যাগরিষ্ঠের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
এ ছাড়া ব্যাংক পরিচালক, তাদের উক্তরূপ আত্মীয়-স্বজন ও নির্ভরশীল এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এর অনুকূলে প্রদত্ত ঋণ ও অগ্রিম, গ্যারান্টি এবং অন্যান্য আর্থিক লেনদেন বার্ষিক সাধারণ সভা কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে এবং ব্যাংকের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে।
(দ্য রিপোর্ট/এএইচ/জেএম/এএল/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)