দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ‍মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগ তোলা হয়েছে। রবিবার মুরসির বিরুদ্ধে দায়ের করা এক মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিনে প্রসিকিউটররা এ অভিযোগ করেন।

অভিযোগে বলা হয়, মোহাম্মদ মুরসি ক্ষমতায় থাকাকালে ‘এক বিদেশি রাষ্ট্র’ ও ইরানের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ‘রেভুল্যুশনারি গার্ড’র কাছে মিসরের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনেক গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করাই এর মূল উদ্দেশ ছিল বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন প্রসিকিউটররা।

মুরসি ও মুসলিম ব্রাদারহুডের ৩৫ সদস্যের বিরুদ্ধে মিসরকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ওই মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া ‍মুরসির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গেও যোগসাজশের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ সব অভিযোগ রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগের সমতুল্য এবং প্রমাণিত হলে মুরসির মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।

১৬ ফেব্রুয়ারি মুরসির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত এই মামলার বিচারকার্য শুরু হয়। রবিবারের শুনানিতে প্রসিকিউটররা মুরসি ও অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিস্তারিত বর্ণনা করেন। শুনানির পর আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিচারকার্য মূলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও মুরসির বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই আরও দুটি মামলার বিচারকার্যও শুরু করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের জুলাই মাসের শুরুর দিকে মুরসির বিরুদ্ধে এক গণবিক্ষোভের প্রেক্ষিতে মুরসিকে মিসরের রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর মুরসিসহ মুসলিম ব্রাদারহুডের অধিকাংশ শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। এ ছাড়া মুসলিম ব্রাদারহুডকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে এর সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। সূত্র: বিবিসি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/জেএম/এএল/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)