রাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয়
রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (রাবিশিস) কার্যকরী সংসদ নির্বাচন-২০১৭ তে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ (হলুদ প্যানেল)। ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সবকটি পদেই বিজয়ী হয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধি।
রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ৫৩৯ ভোট পেয়ে সভাপতি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন ৫৫৪ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক গ্রুপ (সাদা প্যানেল) থেকে সভাপতি পদে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ছায়েদুর রহমান পেয়েছেন ৩৯৪ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এন এম জাহাঙ্গীর কবীর পেয়েছেন ৩৬৮ ভোট।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক দিলীপ কুমার মন্ডল।
তিনি জানান, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জুবেরী ভবনে ভোটগ্রহণ হয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৯৭৪ জন শিক্ষক ভোট প্রদান করেন।
নির্বাচনে এবার ভরাডুবি হয়েছে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যাবোধে বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা প্যানেলের। একটি পদেও জিততে পারেনি তারা।
কার্যনির্বাহী পদে বিজয়ী অন্যান্যরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে আইবিএস এর পরিচালক অধ্যাপক ড. স্বরোচিষ সরকার (৪৬৭ ভোট), কোষাধ্যক্ষ পদে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল গণি (৫২১ ভোট), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ড. মো. ফারুক শাহ (৪৮৬ ভোট)।
এছাড়া ১০টি সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন- মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সনজীব কুমার সাহা, চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের মমতাজ পারভীন মাধবী, আইন বিভাগের ড. রফিকুল ইসলাম, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জেসমীন সুলতানা, মনোবিজ্ঞান বিভাগের নূরে আলম সিদ্দিকী, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আশরাফুল ইসলাম, দর্শন বিভাগের জাহিদুল ইসলাম, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আবুল বাশার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম, ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের ড. খাইরুল ইসলাম এবং গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শেষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রকীব আহমদ বলেন, ‘এ জয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকের জয়। একটি নির্দিষ্ট দল এতে লিড পেয়েছে। কিন্তু এটা একটি নির্দিষ্ট দলের জয়ের তুলনায় শিক্ষক কমিউনিটির জয় বলা ভালো। এর মাধ্যমে প্রতিয়মান হয়েছে যে, মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, প্রগতিশীলতার পক্ষে আছে।’
শিক্ষক সমিতির সদ্য বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘যারা বিজয়ী হয়েছে তাদেরকে অভিনন্দন। সুযোগ্য নেতৃত্বের কাছেই আমরা দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পারবো এবং আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক নির্বাচিত শিক্ষকদের সহযোগিতা করবেন প্রগতিশীলতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে।’
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপ্রিল ২০, ২০১৭)