রাজশাহী অফিস : রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) সদর দফতরে তেল, ডাল ও চাল, সরবরাহের দরপত্র আবারো পছন্দের ঠিকাদারদের কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে বঞ্চিত ঠিকাদারদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ঠিকাদারদের অভিযোগ, সম্প্রতি আরএমপির রেশন সরবরাহের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়। রবিবার দরপত্র বিক্রির শেষ দিন ছিল। ঠিকাদাররা পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে দেখেন, প্রায় ৭০ লাখ টাকার এ কাজের দরপত্র পছন্দের ঠিকাদার ছাড়া অন্যদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে না।

ঠিকাদাররা বলেন, দরপত্র কিনতে চাইলেও নানা অনিয়মের হোতা আরএমপির ‘সমালোচিত’ হেড মোহরার শাহ আলমের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সিডিউল বিক্রি হয়ে গেছে। এর ফলে রাজশাহী ও বগুড়াসহ অধিকাংশ ঠিকাদার দরপত্র কিনতে গিয়েও খালি হাতে ফিরে যান।

ঠিকাদাররা জানান, দরপত্রে প্রতিবছর অন্তত ২৫-৩০ জন ঠিকাদার অংশ নেন। অথচ গত বছর থেকে শুধু পছন্দের ঠিকাদারের মাঝে সিডিউল বিক্রি করা হচ্ছে। এ নিয়ে গত বছরের ২১ আগস্ট আরএমপি তৎকালীন কমিশনার এসএম মনির-উজ-জামানের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছিলেন ঠিকাদাররা।

আরএমপির হেড মোহরার শাহ আলম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘দরপত্র বিক্রির দায়িত্বে তিনি ছিলেন না। অন্য একজনের এ দায়িত্ব ছিল। কাজেই তার পছন্দের লোকজনের কাছে দরপত্র বিক্রি হয়েছে- এটা ঠিক নয়।’

রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) তানভীর হায়দার চৌধুরী দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘কেউ সিডিউল কিনতে গিয়ে না পেয়ে ফিরে গেছেন, এমন কোনো অভিযোগ তার কাছে নেই। তবে ১২টি সিডিউল বিক্রি হয়েছে। কেউ ফিরে গেলে তো আর ১২টি সিডিউল বিক্রি হতো না বলে দাবি করেন তিনি।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচজে/এসবি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)