দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সুন্দরবন রক্ষায় রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে যে প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করা দরকার তাই করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেভ দ্য সন্দুরবন ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এত সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম।

গণবিরোধী এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এমন আহ্বান জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, পরীক্ষা নিরিক্ষা করে এসব প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পরিবেশর ক্ষতি হয় কী না। কিন্তু এ প্রকল্পের জন্য পরীক্ষা নিরিক্ষার আগেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘১৩২০ একর জমির উপর পরীক্ষা নিরিক্ষা কারা হয়েছে। কিন্তু অধিগ্রহন করা হয়েছে ২৬৪০ একর। ভারত এ প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছে। অথচ ভারতের মাটিতে এ প্রকল্পের জন্য অনুমোদন দেয়নি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, রামপালের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তারারাজাকার আবার সরকারের কয়েক জন বিশেষজ্ঞ বলছেন রামপাল প্রকল্পের দূষিত বাতাস সুন্দরবনের দিকে যাবে না। তাহলে কী আমাদের সরকার বাহাদুর বাতাসকে ও নিয়ন্ত্রণ করে ফেলবে।’

আট্রাসুপার কিবাং সুপার টেকনলজি ব্যবহার করে যদি পরিবেশ রক্ষা করা যেত তাহলে ভারতে কেন এই প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে এমন প্রশ্ন রাথেন নজরুল ইসলাম খান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. একিউইউএম বদরোদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন তারা দেশ বিরোধী বা বিদ্যুৎ বিরোধী নয়, এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে শেষ বারের মতো সমীক্ষা চালিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার। অন্যথায় রাজনৈতিক আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই।

একই অনুষ্ঠানে, সুন্দরবন রক্ষায় এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে জনগণকে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

এছাড়া এই প্রকল্পেরর বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে আন্দোলনে নামতে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

(দ্য রিপোর্ট/এআরই/এপ্রিল ২২, ২০১৭)