দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখান্দ। আজ শনিবার (২২ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় শিল্পীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১০টা আরমানিটোলা খেলার মাঠে লাকীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পৌনে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয় মরদেহ। সেখানে সোয়া ১১টায় কেন্দ্রীয় এই শিল্পীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র চাকমার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা লাকী আখান্দকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানান।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাকী আখন্দকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। শহীদ মিনারের লাকীর পরিবারের সদস্য, স্বজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, টিভি ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর, সংগীতশিল্পী নকীব খান, খুরশিদ আলম, ফকির আলমগীর, গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জী, কবির বকুলসহ অনেকেই।

বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে লাকী আখান্দের দ্বিতীয় জানাজা হয়। এরপর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এ কণ্ঠ সৈনিক শুক্রবার(২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। ১৯৫৬ সালের ১৮ জুন জন্ম নেওয়া এই শিল্পীর জীবন থেমে গেল ৬১ বছর বয়সে।

আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দ একাধারে সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও গীতিকার। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে প্রথমবারের মতো একক অ্যালবাম বের করেন লাকী আখন্দ। ওই অ্যালবামের ‘এই নীল মণিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘রীতিনীতি জানি না’, ‘মামনিয়া’, ‘আগে যদি জানতাম’ গানগুলো শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

১৯৮৭ সালে ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের মৃত্যুর পরপর সঙ্গীতাঙ্গন থেকে অনেকটাই স্বেচ্ছায় নির্বাসন নেন এ গুণী শিল্পী। এক দশক পর ১৯৯৮ সালে ‘পরিচয় কবে হবে’ ও ‘বিতৃষ্ণা জীবনে আমার’ অ্যালবাম দুটি নিয়ে আবারও শ্রোতাদের মাঝে ফিরে আসেন লাকী আখন্দ।

(দ্য রিপোর্ট/পিএস/এপ্রিল ২২, ২০১৭)