দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বইয়ের দীর্ঘ মেয়াদি মূল্য রয়েছে। একটি বই বিভিন্ন প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে পারে মননশীলতা ও সৃষ্টিশীলতা।

তাই দরকারি বইটি আরেকজনকে পড়ার সুযোগ করে দিন বা নিজের জন্যই সংরক্ষণ করুন না কেন- মনে রাখুন, বই সংরক্ষণের সঙ্গে আপনার রুচির প্রশ্ন জড়িত।

বইয়ের জন্য আমরা সাধারণত সেলফ ব্যবহার করে থাকি। সেলফ কেনার ক্ষেত্রে টেকসই কাঠ ব্যবহার করুন। সেলফটি যেন দৃষ্টিনন্দন হয় সে-দিকেও খেযাল করুন।

বই সংরক্ষণে যে সব বিষয় বিবেচনায় রাখতে পারেন-

সরাসরি আলো, তাপ ও আর্দ্রতার উৎস থেকে বই দূরে রাখুন। এগুলো বইকে নষ্ট করে দেয়।

পাশাপাশি রাখা বইগুলো যেন একই দৈর্ঘ্যের হয়। একটি বড় বইয়ের সঙ্গে ছোট দৈর্ঘ্যের বই রাখলে বইয়ের শিরদাঁড়ায় অতিরিক্ত চাপ পড়ে। বইগুলো পাশাপাশি সারিবদ্ধ করে রাখুন।

বই সুষম বিন্যাসে সাজান। বই চাপাচাপি করে যেমন রাখবেন না, তেমনি ঢিলেঢালাভাবেও রাখবেন না। একটার উপর আরেকটি ঠেস দিয়ে রাখলে বইয়ের শিরদাঁড়ায় চাপ পড়ে। ফলে বই সহজে খুলে যায়।

যদি একটি বইয়ের উপর আরেকটি রাখতেই হয় তবে কম ওজনের বইটি উপরে রাখুন। তবে নির্দিষ্ট সময়ের পর উপরের বইটি অন্য কোনো বইয়ের উপর রাখুন।

তাক থেকে যদি কোনো বই নামাতে হয় তবে বইয়ের শিরদাঁড়ার মাঝামাঝি ধরে টানুন। এতে ভারসাম্য রক্ষা হয়। উপর বা নিচের দিকে ধরে বই টেনে নিবেন না।

প্লাস্টিক ব্যাগে বই রাখবেন না। বইয়ের জন্য আলো-বাতাসের দরকার আছে। নইলে আর্দ্রতা বইকে নষ্ট করে দেয় ও পোকায় ধরে। যদি ব্যাগেই রাখতেই চান তবে কাগজ বা কাপড়ের ব্যাগে রাখুন। এগুলো যদি এসিডমুক্ত হয় তবে ভালো হয়।

নিয়মিত বই পরিষ্কার করুন। বই ও সেলফ পরিষ্কার করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।

পোকার হাত থেকে বই বাঁচাতে চাইলে বইয়ের ফাঁকে কয়েকটি শুকনো নিমপাতা রেখে দিন।

(দ্য রিপোর্ট/এফএস/এপ্রিল ২২, ২০১৭)