দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চলতি বছরে যারা হজ পালন করতে মক্কায় যাবেন তারা হজের সার্বিক খরচ বাদেও জনপ্রতি এক হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। সরকারি বা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যারাই হজে যাবেন, তারা এ পরিমাণ অর্থ নিতে পারবেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে জানানো হয়েছে।

 

এতে আরও বলা হয়েছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যাত্রীদের কোরবানির জন্য সৌদি মুদ্রায় ৫০০ রিয়েল এর সমপরিমাণ ১০ হাজার ৭৫০ টাকা (কম বা বেশি) নিজ দায়িত্বে সঙ্গে নিতে হবে।  

 

রবিবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিনিময় বিভাগ এ সার্কুলার জারি করেছে।

বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠানো ওই সার্কুলারে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ গমনেচ্ছুদের কাছ থেকে হজের প্যাকেজ অনুযায়ী স্থানীয় মুদ্রায় অর্থ জমা গ্রহণের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুসহ প্রাসঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুমোদিত ডিলারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সার্কুলারে প্রতি মার্কিন ডলার ৮০.৫০ টাকা এবং সৌদি রিয়েল ২১.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমসাময়িক বাজার দর অনুযায়ী হবে।

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে দুটি প্যাকেজ রয়েছে। প্যাকেজ-১ অনুযায়ী, জনপ্রতি হজের খরচ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৫০৮ টাকা। প্যাকেজ-২ অনুযায়ী খরচ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৫ টাকা।

অপরদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ ধরা হয়েছে জনপ্রতি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩৭ টাকা। তবে এজেন্সি প্যাকেজ অনুযায়ী মিনা-আরাফায় মেয়াল্লেমের অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ, মক্কা-মদীনায় বাড়ি/হোটেল ভাড়া ব্যয়, কুরবানির খরচ, গাইড খরচ, খাওয়া খরচ এর সঙ্গে যোগ হবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, প্রচলিত ব্যবস্থায় টিএ ফরমে আবেদনের ভিত্তিতে কনফার্মড রিটার্ন এয়ার টিকিট ও আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্টপূর্বক বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যু করা যাবে। বিমান টিকিটে উল্লেখিত যাত্রার তারিখের দুই সপ্তাহের পূর্বে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যু করা যাবে না। বৈদেশিক মুদ্রা কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট হজ যাত্রীর নিকট হস্তান্তরের বিষয়টি অনুমোদিত ডিলারদের নিশ্চিত করতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমকে/জেডটি/এপ্রিল ২৩, ২০১৭)