দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : লাইসেন্স বা অনুমোদন না লাগায় সহজেই শেয়ারবাজার বিশ্লেষক হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। এই সুযোগে শেয়ারবাজারে প্রপাগান্ডা ছাড়িয়ে নামধারী বিশ্লেষকরা (অ্যানালিস্ট) স্বার্থ হাসিল করছে। এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জরূরি। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এর মধ্যে আলোচনায় এসব বিষয় উঠে এসেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক পরিচালক বলেছেন, ‘সভায় বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে গুরুত্ব পেয়েছে নামধারী শেয়ারবাজার বিশ্লেষকদের বিশ্লেষণ। যারা বাজার কখন উঠবে, কখন নামবে, কখন কত কোটি টাকার লেনদেন হবে ইত্যাদিসহ নানা বিষয়ে প্রপাগান্ডা ছড়ায়। এরা জবাবদিহিতার অভাবে এই প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে স্বার্থ হাসিল করে।’

তিনি জানিয়েছেন, বিশ্লেষকদের কোনো লাইসেন্স পেতে হয় না। এ ছাড়া এদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে না। অথচ উন্নত দেশে বিশ্লেকষকদের লাইসেন্স নিতে হয়।

তিনি আরও জানিয়েছেন, শেয়ারবাজারের চলমান ধারাবাহিক পতনের পেছনে একটি গ্রুপ কাজ করেছে। যারা অনেক শেয়ার বিক্রয় করে চুপ করে রয়েছে। এদের শেয়ার লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত করার দাবি উঠে এসেছে।

শেয়ারবাজারের বর্তমান নেতিবাচক অবস্থায় বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য বিএসইসির চাঁদা সংগ্রহ নিয়ে অনেকে নাখোশ হয়েছে বলে জানান ডিএসইর ওই পরিচালক। সিডিবিএল থেকে দেড় কোটি, ডিএসই থেকে ১ কোটি, সিএসই থেকে ৫০ লাখ, প্রতি ব্রোকারেজ হাউজ থেকে বাৎসরিক ২০ হাজার টাকা চাঁদা নেয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। যা এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব না। বিষয়টি বিএসইসিকে বিবেচনায় নেওয়ার জন্য আলোচনায় উঠে আসে।

আলোচনায় উঠে আসা বিষয়গুলো ডিবিএ প্রস্তাব আকারে বিএসইসিতে পাঠাবে বলে জানিয়েছেন ডিএসই পরিচালক।

সভায় ডিএসইর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার পরিচালকেরা অংশগ্রহন করেন। এ সময় ডিবিএ’র পরিচালনা পর্ষদ ও অ্যাডভাইজারি কমিটি অংশ নেয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/জেডটি/এপ্রিল ২৫, ২০১৭)