দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের যমুনা অটোরাইস মিলে বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় বুধবার দুপুরে মো. এনামুল হক (৪৫) ও মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাতে মাজেদুর রহমান (৪৫) নামে আরও দুজন মারা গেছেন। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তারা মারা যান।

এর আগে সোমবার পর্যন্ত (২৪ এপ্রিল) বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে সোমবার মনোরঞ্জন রায় (৩৬) ও শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই মিলের ব্যবস্থাপক রঞ্জিত বসাক (৫০) এবং রবিবার দুপুর ১টার দিকে শ্রমিক দেলোয়ার হোসেন (৩০) মারা যান।

এছাড়া রবিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল ইসলাম, উদয় কুমার, দুলাল চন্দ্র রায়, মুকুল মিয়া (৪৬ বছর) ও মোহাম্মদ মুন্না (৩২) নামে পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যু হয় বলে জানান হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান মারুফুল ইসলাম।

একই দিন (রবিবার) দিনাজপুর এম এ রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিপন (৩০) নামে এক শ্রমিক মারা যান।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, বিস্ফোরণের এ ঘটনায় আহত শ্রমিক রঞ্জনা রায় (৪০) ও মোকসেদ আলী (৪৮) ঘটনার দিনই (গত বুধবার) মারা যান। এ ছাড়া আরিফুল ইসলাম (৩০) বৃহস্পতিবার ও রুস্তম আলী (৪৫) শুক্রবারে মারা যান।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে দিনাজপুর সদর উপজেলার গোপালগঞ্জ শেখহাটি এলাকায় সুবল ঘোষের মালিকানাধীন যমুনা অটোরাইস মিলে বয়লার বিস্ফোরণ ঘটলে ৩০ জন দগ্ধ হন।

বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানকে প্রধান করে ৬ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।

(দ্য রিপোর্ট/এআরই/কেএনইউ/এনআই/এপ্রিল ২৬, ২০১৭)