‘শ্যামল কান্তি ঘুষ নিয়েছেন’, সত্যতা পেয়েছে পুলিশ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কল্যান্দি এলাকায় অবস্থিত পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের আলোচিত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে, এমন দাবি করেছে পুলিশ। এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শ্যামল কান্তি ভক্ত স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। দীর্ঘ তদন্তের পর এর সত্যতা নিশ্চিত হয়ে পুলিশ সম্প্রতি ৪ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সোহেল আলম বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ ১৭ এপ্রিল শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ১৬১/৪১৭/৪০৬/৪২০ ধারায় আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। মামলার ধার্য তারিখ আগামী ২৪ মে প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে। সেদিন এ বিষয়ে শুনানি হবে।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, ৪ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে পুলিশের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে-২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার জন্য শ্যামল কান্তি ভক্তকে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ দেন ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগম। এরপর আরও ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন শ্যামল কান্তি। পরে আরও ১ লাখ টাকা দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু শ্যামল কান্তি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের এমপিওভুক্তের দরখাস্ত কোনো স্থানেই প্রেরণ করেনি। পরবর্তীতে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ফেরত চাইলে তিনি ২০১৬ সালের ১২ মে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে মোর্শেদা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে বন্দর সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ জুলাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, শিক্ষার্থী রিফাতকে মারধর ও শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পৃথক তিন জন বাদী নারায়ণগঞ্জ আদালতে তিনটি মামলার আবেদন করেন। আদালত ওই দিন বিকেলে শুনানি শেষে প্রথম দুটি মামলা খারিজ করে দেন। পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমকে প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/জেডটি/এনআই/এপ্রিল ২৬, ২০১৭)