ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ‘স্যার, আমি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। আমার পরিবারের লোকজন জোর করে আমাকে বিয়ে দিচ্ছে। আমি বিয়ে করতে চাই না। আমি পড়তে চাই।’ বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাদেকুর রমানের কাছে মোবাইল ফোনে এসব কথা বলেছিলেন রতনা খাতুন (১৬) নামের এক কিশোরী।

এরপর রাতেই ওই কিশোরীর বাড়ি গিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলে বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। রতনা কালীগঞ্জ পৌরসভার আড়পাড়া গ্রামের জাক্কু মিয়ার মেয়ে। যশোর বোর্ডের অধীনে স্থানীয় সলিমুন্নেসা পাইলট বালিকা বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে রতনা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও ছাদেকুর রহমান জানিছেন, এদিন বিকেলে মেয়েটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করার জন্য তাঁকে ফোন করে। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মেয়েটির বাড়িতে যান এবং পরিবারের লোকজনকে বুঝিয়ে মেয়েটির বিয়ে বন্ধ করে দেন।

এসময় রতনার এমন বিরোচিত ভূমিকার প্রশংসা করে ইউএনও দ্য রিপোর্টকে বলেছেন, ‘মেয়েটি লেখাপাড়া করতে চায়। সমাজের অন্য মেয়েরা যদি এভাবে বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তাহলে একদিন এ উপজেলা বাল্যবিবাহ মুক্ত হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/এজে/এনআই/এপ্রিল ২৭, ২০১৭)