দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা আইসিসিতে জোর ধাক্কা খেয়েছে ভারত। সদস্য দেশগুলির মধ্যে কীভাবে আর্থিক পুনর্বিন্যাস হবে, আর আইসিসি আগামী দিনে কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটিতে একঘরে হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। আর্থিক পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে ১৩-১ ভোটে ভারতের দেওয়া প্রস্তাবটি পরাজিত হয়েছে আর নতুন পরিচালন নীতির ভোটাভুটিতে ২-৮ ভোটে পরাস্ত হয়েছে ভারত।

বৃহস্পতিবার(২৭ এপ্রিল) আইসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরবর্তী আট বছরে বিসিসিআই মোট ২৯৩ মিলিয়ন ডলার পাবে, ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড পাবে ১৪৩ মিলিয়ন আর জিম্বাবুয়ে পাবে ৯৪ মিলিয়ন। বাকি সাতটি পূর্ণ সদস্য দেশ প্রত্যেকে পাবে ১৩২ মিলিয়ন করে। অ্যাসোসিয়েট সদস্য দেশগুলি পাবে ২৮০ মিলিয়ন আর্থিক সহায়তা।

ভারত গত বছর পর্যন্ত ৫৭০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল আইসিসির কাছ থেকে। এবার তা আর হলো না। এর ফলে ক্রিকেটের তিন মোড়লের এক মোড়ল ভারত বিশেষ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হলো।

এদিকে আইসিসির সংবিধানে যে সব পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেটা পাশ হয়েছে ১২-২ ভোটে। প্রস্তাবিত নতুন সংবিধান আইসিসির কাউন্সিলরদের সামনে জুন মাসে পেশ করা হবে।

প্রস্তাবিত নতুন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এখন থেকে দুই ধরণের সদস্য দেশ থাকবে আইসিসিতে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে পূর্ণ সদস্য, আর অপরটি অ্যাসোসিয়েট সদস্য। এতে কী ধরণের সদস্য, সেটার বিচার না করে প্রতিটি দেশই সমান ভোটাধিকার পাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর বলছেন, ‘এই নতুন প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত হলে বিশ্ব ক্রিকেট আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। একদিকে যেমন ক্রিকেটের ভিত্তি আরও মজবুত করা যাবে, অন্যদিকে ভবিষ্যতে খেলার বিশ্বব্যাপী প্রসারও ঘটবে।’

তবে বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থার এই গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটিতে হেরে গিয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে সরে আসবে কী না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ২৫ এপ্রিল সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনও ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করে নি।

এ ব্যাপারে প্রাদেশিক সদস্যদের নিয়ে বোর্ডের একটি স্পেশাল জেনারেল মিটিং ডাকতে পারে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিসিসিআইয়ের প্রশাসক গোষ্ঠী, এমন সম্ভাবনার কথা ভারতের কিছু গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে। সেই বৈঠকেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে ভারতীয় বোর্ড।

(দ্য রিপোর্ট/এজে/এপ্রিল ২৭, ২০১৭)