দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ইয়াসমীনের ধর্ষণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলা করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমানকে আগামী ২ এপ্রিল আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি হাবিবুল গণির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ ছাড়া ধর্ষিতা ইয়াসমীন আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না করার ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন আদালত।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুন্সীগঞ্জ জেলার ডিসি, এসপি ও শ্রীগর থানার ওসিকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদনও দাখিল করতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা না করায় ওসির দায়িত্ব ও কর্তব্যে কোন ধরনের অবহেলা ছিল কিনা তা একজন সিভিল অফিসারের মাধ্যমে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন টাইটাস হিল্লোল রেমা।

প্রসঙ্গত, মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার মেযোহাটি গ্রামের ইয়ার হোসেনের বড় মেয়ে ইয়াসমীনকে ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে তার বাবার বন্ধু এবং একই গ্রামের সাত সন্তানের জনক সালাম জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই রাতেই গ্রাম্য সালিশে সালামকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ঘটনার দুদিন পরে অপমান সইতে না পেরে ১৪ ফেব্রুয়ারি ইয়াসমীন তাদের ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

কিন্তু ওই ঘটনায় পুলিশ কোনও মামলা করেনি। এরপর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ সংগঠন জনস্বার্থে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিট করে।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এফএস/এমএআর/এএইচ/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)