ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকদের বাড়ীতে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। এ সময় হামলায় নিহত হয়েছেন জিয়া নামের একজন। ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন।

হামলাকারিরা বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করেছে বলে জানা গেছে। হামলার খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ও ফরিদপুর জেলা পুলিশের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহাগ খানের এক সমর্থকের সঙ্গে শনিবার কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত ফকিরের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। এর সূত্র ধরেই রবিবার সকাল ৯টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সোহাগ খানের বাড়ীতে হামলা চালায়। এ সময় সোহাগ খানের বাড়ীসহ কমপক্ষে ২০টি বাড়ী ভাংচুর করা হয়। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি ঘর। ভাংচুর করা হয় একটি মাইক্রোবাস। হামলায় চেয়ারম্যান সোহাগ খানের ভাতিজা জিয়াকে কুপিয়ে মারাত্বক ভাবে আহত করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর সে মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হামলার এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন এবং সদর হাসপাতালে ৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

নগরকান্দা সার্কেল এএসপি মহিউদ্দিন জানায়, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তিনি এক জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এআরই/এপ্রিল ৩০, ২০১৭)