দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আমদানি শুল্ক পুন:বিন্যাসের দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই)।

রবিবার (৩০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির ৩৮তম সভায় এ দাবি জানায় সংগঠনটি। এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) এ সভার আয়োজন করে। এতে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন।

সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ লিখিতে বক্তব্যে বিভিন্ন দাবি ও প্রস্তাব তুলে ধরেন।

আমদানি শুল্ক পুন:বিন্যাসের দাবি করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশীয় শিল্পের বিকাশ, বর্ধিত হারে উৎপাদন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান এবং ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে বর্তমান শুল্কস্তর ১ শতাংশ, ৫ শতাংশ, ১০ শতাংশ, ১৫ শতাংশ ও ২৫ শতাংশ অব্যাহত রাখতে হবে। বর্তমানে ট্যারিফ সিডিউলে ৩১২টি পণ্যের উপর শূন্য শতাংশ শুল্ক আছে তা আগামী অর্থবছরে অব্যাহত রাখতে হবে। যেমন সুতা, জীবন রক্ষাকারী ঔষধ, ভিটামিন, শস্যবীজ এবং কাচাঁপণ্য ইত্যাদি। এছাড়াও ৪৭টি পণ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ ডিউটি নির্ধারণ করা আছে তা অব্যাহত রাখতে হবে। যেমন, স্টীল ও লোহা জাতীয় পণ্য, চিনি, সিমেন্ট ক্লিংকার, পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্য ইত্যাদি।

আন্ডার ইনভয়েসিং এবং মিস ডিক্লেরেশন এর কারণে সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্যেও ক্ষেত্রেও বৈষম্য তৈরি হয়। এজন্য আন্ডার ইনভয়েসিং এবং মিস ডিক্লেশন রোধের জন্য পণ্যভিত্তিক বিনিময় মূল্যও ডাটাবেজ প্রণয়নের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক নীতি সদস্যকে আহবায়ক করে এফবিসিসিআই, ট্যারিফ কমিশন, শূল্ক মূল্যায়ন কমিশনারেট এর সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করেছে এফবিসিসিআই।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাস্টমস ভ্যালুয়েশন এগ্রিমেন্ট ও ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এগ্রিমেন্ট আধুনিক এবং বাস্তবসম্মত ব্যবস্যা-বান্ধব পরিবেশ তৈরি এবং রাজস্ব বান্ধব করার জন্য নতুন শুল্ক আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আগামী বাজেটে এই শুল্ক আইন পাশ করার জন্য প্রস্তাব করা হয়।

নতুন মূসক আইন অনুযায়ী ১ হাজার ৫২০টি পণ্যে ও সেবার মধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি পণ্য ও সেবা থেকে সম্পূরক শুল্ক উঠে যাবে। এতে দেশীয় বাজারে বিদেশি পণ্য নিয়ন্ত্রণ করবে এবং স্থানীয় শিল্প প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এ কারণে বর্তমানে সেসকল পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে সম্পুরক শুল্ক আরোপ করা আছে তা অব্যাহত রাখা বা রেগুলেটরি ডিউটি আরোপসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এস/এআরই/এপ্রিল ৩০, ২০১৭)