ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী আসনের সাবেক এমপিসহ চার বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের ঘটনায় বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি নেতা বোয়ালমারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামসহ চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম জামাল উদ্দিন নান্নু মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম লিটন, জেলা জিয়া পরিষদের সহ-সভাপতি ও উপজেলা সভাপতি মো. শহিদুল হক মন্টুকে বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি স্বাক্ষরিত চিঠি (স্মারক নং বিএনপি/বহিষ্কার/৩৯/২০১)৪ রবিবার বিকেলে বোয়ালমারীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার কামাল মিয়ার হাতে আসে বলে জানা যায়।

বোয়ালমারী বিএনপি নেতা সাবেক এমপি শাহ মো. আবু জাফর দ্য রিপোর্টকে বলেন, বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাচনে জেলা কমিটি এবং বোয়ালমারী উপজেলা কমিটি তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিক্তিতে বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিদ্দিক মিয়াকে চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন করে। এ সিদ্ধান্তকে অমান্য করে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে একেএম জামাল উদ্দিন নান্নু মিয়া এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে রফিকুল ইসলামকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামিয়ে দলের সমর্থকদের বিভ্রান্ত করেন।

এ ছাড়া ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় খন্দকার নাসিরুলের নির্দেশে মধুখালী বিএনপির কর্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব অভিযোগের সত্যতা থাকায় কেন্দ্র থেকে তাকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ আসে।

বোয়ালমারী নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার কামাল মিয়া এবং থানা কমিটির দফতর সম্পাদক প্রফেসর মুজিবের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হলে তারা জানান, রবিবার বিকেলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভি স্বাক্ষরিত চিঠি আমার কাছে আসে। সেখানে উল্লেখ আছে, দলের প্রধানের নির্দেশে দলের প্রধান পদসহ সব পদ থেকে এ চারজনকে বহিষ্কার করা হলো।

বহিষ্কার আদেশকে সাজানো নাটক বলে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, আমি এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো চিঠি পাইনি। তবে শুনেছি। আমার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ জাফর একটি চিঠি তার সমর্থকদের হাতে দিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে কেন্দ্রে একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্যের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, বহিষ্কার করার আগে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ হওয়া উচিত ছিল। তাছাড়া দলের প্রধানের সিদ্ধান্ত আছে, উপজেলা প্রার্থী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাউকে বহিষ্কার করা হবে না। আমি এ সিদ্ধান্ত মেনে নেইনি।

(দ্য রিপোর্ট/এসএইচ/এএস/এএইচ/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)