‘প্রান্তিক পরিসরেও বইমেলা আর এর সংস্কৃতি চালু রাখা যায়’
সুস্মিতা চক্রবর্তী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। গবেষণা করছেন লোকধর্মের তাত্ত্বিক-ধ্যানধারণা আর বাংলাদেশের মাজারকেন্দ্রিক লোকধর্মীয় সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে। একইসঙ্গে কবি, প্রবন্ধকার ও অনুবাদক বলে পরিচিত তিনি। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘খোঁয়াড়ের মেয়ে’ বের করেছে পেঁচা প্রকাশনী। আগামী এবং মানুষ নেটওয়ার্কের যৌথ উদ্যোগে বের হয়েছে অরুন্ধতি রায়ের সাক্ষাৎকারের অনুবাদগ্রন্থ ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’। পারিবারিক জীবনে সেলিম রেজা নিউটন তার সহধর্মী, একমাত্র মেয়ে লালন সুস্মিতা। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার মুখোমুখি হয়েছেন ওয়াহিদ সুজন
এবার মেলায় কী কী বই আসছে।
একটাই বইয়ের কাজ করলাম : ফোকলোর ও জেন্ডার। বইটি একাডেমিক ধাঁচের। দীর্ঘ সময় ধরে ভাবনা-চিন্তা আর কাজের ফলাফল। পরিশ্রম করে করা। বের করছে আগামী প্রকাশনী।
বইটি বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। আর সব বইয়ের মতোই ঢাকা শহর বা এই ধরনের শহর ছাড়া কোথাও পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমন পরিস্থিতিতে বইকে কীভাবে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া যায় বলে মনে করেন।
শুধু ঢাকায় নয়, দেশের প্রান্তিক পরিসরেও বইমেলা আর এর সংস্কৃতি চালু রাখা যায়, বিনামূল্যে বই পড়ার অভ্যাস-সংস্কৃতি সাংগঠনিকভাবে নিয়মিত চালু রেখে। বইপত্র তো মানুষ প্রয়োজনে কেনে আর শিক্ষিত সচেতন জনগণ ভালোবেসে পড়ার জন্য বা নিদেনে ড্রয়িংরুমে বই সাজিয়ে রাখার সংস্কৃতি থেকেও কেনে! প্রান্তিক গরিব জনগণের অবস্থা তো তা নয়। তারা অনেক কষ্ট করে কোনোক্রমে সন্তানদের পড়ালেখা চালায়। তাদের পক্ষে বাড়তি বই কেনা একটু কষ্টসাধ্য তো বটেই!
মেলায় আসছেন কি?
আসতে পারি।
বই কেনার পরিকল্পনা নিয়ে বলুন।
মেলায় পছন্দ হলে কিছু বই তো কিনবই। আগে থেকে কোনো পরিকল্পনা নেই।
বইমেলার স্থান সম্প্রসারণের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
স্থান বাড়ানোর মাধ্যমে মেলার পরিসরটা আরও বিস্তৃত হয়। আর নির্দিষ্ট স্থানকে কেন্দ্র করে যে ব্যাপক ঠাসাঠাসি- ভিড়-ভাট্টা তাও একটু কমে বোধহয়।
(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এইচএসএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)