চট্টগ্রাম অফিস : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেঝেন, ‘সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ পরিবেশে আগামী নির্বাচনে দেশবাসী ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ জামানত হারাবে।’

বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিএনপি আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘এ ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, প্রশাসন পুলিশ বিভাগসহ সকল সরকারি সংস্থাকে দলীয়করণ করেছে। দলীয়করণ করার কারণে কোথাও কোন শৃঙ্খলা নেই। আজ সকল সেক্টর সমস্যায় নিমজ্জিত, এ অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে। সরকার জঙ্গিবাদকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।’

মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে খন্দকার মোশারফ বলেন, ‘জঙ্গিবাদকে বিএনপি প্রশ্রয় দেয় না বরং বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে জঙ্গিবাদকে কঠোর হস্তে দমন করেছিল।’

বর্তমান সরকার সব দিকে ব্যর্থ উল্লেখ করে বিএনপি’র এ নেতা বলেন, ‘দেশে জনগণের সরকার নেই বলেই সব দিকে বিপর্যয় হচ্ছে। স্থিতিশীল গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব না। বর্তমানে গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ সরকারের বাক্সে বন্দী। সরকার বিএনপিকে ভয় পায় বলেই কোন ধরণের সভা সমাবেশ করতে অনুমতি দিচ্ছে না। পুলিশের উপর সরকারের কোন কর্তৃত্ব না থাকায় দেশে গুম খুন বেড়েছে।’

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের মানুষ ভাল নেই। সরকার দেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বিদ্যুত এবং গ্যাসের উচ্চ মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। দেশে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।’

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দিন, গোলাম আকবর খোন্দকার, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. সুকমল বড়ুয়া, চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, নগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত দু’দিন চট্টগ্রাম উত্তর এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র প্রতিনিধি সম্মেলনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ হওয়ায় নগর বিএনপির সমাবেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দলের কোন নেতার নামে শ্লোগান দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সভামঞ্চে নির্ধারিত অতিথি ছাড়া কাউকে বসতে দেওয়া হয়নি। কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে নগরীর ১৫টি থানা ও ৪১ ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভরপুর হয়ে উঠে নাসিমন ভবনের আশপাশ এলাকা। তবে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে সমাবেশ।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/মে ০৪, ২০১৭)