ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ছেলের মেধা আর ইচ্ছা দেখে ভর্তি করিয়েছিলেন ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে। এখন দেখি সেই মেধাই দুঃচিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে খাইরুল ইসলাম নামে এক হতভাগা (ননএমপিও) শিক্ষক বাবার।

এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ছেলে খালেদুর জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে। প্রায় ১৮ বছর হয়েছে বিনা বেতনে চাকরি করছেন ননএমপিও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ফলে অভাবের সংসারে নতুন চিন্তা সামনে এসে দাঁড়িয়েছে ছেলের উচ্চশিক্ষার খরচ।

শিক্ষক খাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ছেলে খালেদুর রহমান পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি লাভ করে বায়না ধরে ঝিনাইদহ সরকারি বালক বিদ্যালয়ে পড়বে। তখন গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার লক্ষিপুর ছেড়ে ঝিনাইদহে আসেন। ওঠেন ঝিনাইদহ শহরের বনানীপাড়ার লালন শাহ সড়কের একটি ভাড়া বাসায়। টিউশনি করে ছেলের পড়ালেখা আর অনেক কষ্টে সংসার চালান। এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ছেলে খালেদুর জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করলে নতুন করে চিস্তার ভাঁজ পড়ে বাবার কপালে। ছেলের ভর্তি এমনকি আর পড়ালেখা করানোর সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে দারস্থ হন বিত্তবানদের কাছে।

শুক্রবার (৫ মে) তিনি প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে আকুতি জানিয়ে বলেন, ছেলেকে পড়ালেখা করানোর মতো আমার আর সামর্থ্য নেই। এখন চার সদস্যের সংসারের ঘানি টানতে আমি অসহায়। কেউ ছেলেটির কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি ও পড়ালেখার ধারাবাহিক খরচ বহন করলে আমি বেঁচে যাই। কথাগুলো বলার সময় খাইরুলের চোখে পানি এসে যায়। জন্মদাতা পিতা হয়েও আজ অভাব-অনটনের কারণে ছেলের পড়ালেখা করাতে পারছেন না।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/মে ০৬, ২০১৭)