দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের প্রচার-প্রচারণা মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হবে। ভোটগ্রহণ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার।

এরই মধ্যে প্রস্তুত ৫২ জেলার ১১৬ উপজেলা। উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায়। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মঙ্গলবার সকাল থেকে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী। তাদের সঙ্গে রয়েছে পর্যাপ্তসংখ্যক র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য। এ সব উপজেলার জন্য সব মালামাল পাঠানোও শেষ হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন দ্বিতীয় দফায় ১১৭ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করলেও ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে ১১৬ উপজেলায়। অপরটি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার নির্বাচন ১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে মঙ্গলবার মধ্যরাতেই (রাত ১২টা) শেষ হচ্ছে মিছিল-মিটিংসহ সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। একই সঙ্গে বন্ধ হচ্ছে সব ধরনের যান চলাচল। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করলেও তা চলছে ঢিমেতালে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচন দলীয় ব্যানারে না হলেও দলীয় প্রভাব রয়েছে সবখানেই। আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের পছন্দমতো প্রার্থী দিয়েছে। রয়েছেন প্রধান দুটি দলেরই অসংখ্য বিদ্রোহী প্রার্থী। নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মাঝে রয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোটগ্রহণ উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে (ইসি)। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। সারাদেশে ৪৮৭ উপজেলার এ পর্যন্ত পাঁচ ধাপে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান জানান, নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা পূর্বে সব প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকবে। তা অব্যাহত থাকবে নির্বাচনের পর ৬৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। কেউ আইন ভঙ্গ করলে কারাদণ্ড ও আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এমনকি প্রার্থিতাও বাতিল হবে।

এ নির্বাচনে মোবাইল ফোর্স হিসেবে পর্যাপ্তসংখ্যক র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকছে। এ ছাড়া প্রতি কেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (নারী-৪, পুরুষ-৬ জন) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রামপুলিশ একজন করে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবে।

পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওর এলাকায় এ সংখ্যা শুধু পুলিশের ক্ষেত্রে দুইজন হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ৪৬৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১১৬ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

১১৬টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ৩৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৫০৫ জন। ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) প্রার্থীর সংখ্যা ৫১১ জন। ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) প্রার্থীর সংখ্যা ৩৩৬ জন।

এ সব এলাকায় মোট ভোটার ১ কোটি ৯৮ লাখ ৫১ হাজার ১৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪১ জন, নারী ভোটার ৯৯ লাখ ১৩ হাজার ৪৩৫ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮ হাজার ১৩৬টি, ভোটকক্ষ ৫৪ হাজার ৪৩৭টি। প্রিসাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে ৮ হাজার ১৩৬ জন। সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকক্ষের জন্য একজন করে মোট ৫৪ হাজার ৪৩৭ জন এবং ১ লাখ ৮ হাজার ৮৭৪ জনপোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএস/এনডিএস/আরকে/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)