দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে তুলকালাম ঘটেছে। এ নিয়ে চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় এক নারী চিকিৎসক আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের চতুর্থ তলায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত ব্যক্তির নাম জাহানারা বেগম (৫৫)। তিনি শুক্রবার রাত ১২টায় স্ট্রোকজনিত কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন।

মৃত ব্যক্তির ছেলে মোহাম্মদ তুহিন অভিযোগ করে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ডাক্তারের অবহেলার কারণে আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে মাকে ৮০২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পাঠানো হয় চতুর্থ তলায় ন্যাফ্রোলজি বিভাগে। তখন বিভাগের রেজিস্ট্রার চিকিৎসক আয়েশা বেগম বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে আসার পর চিকিৎসককে দেখতে বললে তিনি গরিমসি করেন। যখন চিকিৎসক দেখতে আসেন তখন রোগীর অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় তাৎক্ষণিক ইসিজি করতে দেওয়া হয়। ইসিজি করে নিয়ে আসার পর তিনি মারা যান।

জাহানারা বেগম মারা যাওয়ার পর তার স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে পরেন এবং এক পর্যায়ে ডাক্তার আয়েশা বেগমের নাকে আঘাত লাগে। পরে পুলিশ গিয়ে মৃত ব্যক্তির ছেলে মোহাম্মদ তুহিন ও মেয়ের জামাই মাসুদ রানাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন।

এ প্রতিবেদক আটককৃতদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ক্যাম্পে গিয়ে দেখতে পান ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ান সিদ্দিকীসহ কয়েকজন মিলে আটক দুইজনকে পুলিশ ক্যাম্পে ঢুকে পুলিশের সামনেই মারধর করছে।

এ ব্যাপারে ডাক্তার আয়েশা বেগমের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) খাজা আব্দুল গফুর দ্য রিপোর্টকে জানান-আমাদের একজন ডাক্তার আহত হয়েছেন। আহত ডাক্তার নিজেই বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করবেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোজাম্মেল হক বলেন- খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে মৃত ব্যক্তির ছেলে মোহাম্মদ তুহিন ও মেয়ের জামাই মাসুদ রানাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এপি/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)