‘প্রয়োজনে ব্যাংক ঋণ পান না নারী উদ্যোক্তারা’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘যে সব নারী উদ্যেক্তাদের ব্যাংক ঋণ প্রয়োজন তারা সেটা পান না’ বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।
সচিবালয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে বৈঠককালে চেম্বার নেতারা এ অভিযোগ করেন। সংগঠনের সভাপতি সঙ্গীতা আহমেদ, সাবেক সভাপতি সেলিমা আহমেদ, শ্যামা’র স্বত্বাধিকারী শাফিয়া শ্যামা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠককালে উইমেন চেম্বারের পক্ষ থেকে নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানে তহবিল বরাদ্দ, পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তা প্রদান, পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট নির্ধারণ ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রদানের দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সাবেক সভাপতি সেলিমা আহমাদ বলেন, ‘বর্তমান সরকার নারী উদ্যেক্তাদের যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। তবে আমরা আরেকটু সুযোগ-সুবিধা চাই।’
নারী উদ্যোক্তদের প্রশিক্ষণ প্রদানে সরকারি তহবিল বরাদ্দ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি রয়েছে। সেখানে ১শ’ থেকে ১৫০ কোটি টাকা দেওয়া কর্তৃপক্ষের জন্য কোনো ব্যাপারই নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশপাশি পণ্য বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে সহায়তা করাটা বিশেষ জরুরি, বিদ্যমান পরিবহণ ব্যবস্থায় একজন নারীর পক্ষে পণ্য নিয়ে চলাচল করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া স্টল ভাড়াসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় অনেক বেশি হওয়ার প্রান্তিক নারী উদ্যেক্তারা আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। এক্ষেত্রে স্টল ভাড়ার ওপর সরকার তাদের ভর্তুকি দিতে পারে।’
শাফিয়া শ্যামা বলেন, ‘যে সব নারী উদ্যোক্তাদের ব্যাংক ঋণ প্রয়োজন তারা সেটা পান না।’
তার এ বক্তব্য সমর্থন করে সেলিমা আহমাদ বলেন, ‘দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বড় বড় নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়। এসএমই (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প) খাতের মোট ঋণ প্রবাহের ১৫ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ রাখা হলেও যাদের প্রয়োজন তারা ঋণ পান না। ব্যাংকগুলো কিছু বড় উদ্যোক্তাদের ডেকে এনে ঋণ দিয়ে কোটা পূরণ করে থাকে।’
নারী উদ্যোক্তাদের দাবির বিষয়ে একমত পোষণ করে প্রতিমন্ত্রী তাদের প্রস্তাবসমূহ সুনির্দিষ্ট আকারে প্রদানের পরামর্শ দেন।
একইসঙ্গে নারী উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তবে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার ক্ষেত্রেও একটা সীমারেখা আছে এটা মনে রাখতে হবে। কাউকে অনন্তকাল সহযোগিতা প্রদান সম্ভব নয়।’
প্রতিমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে সেলিমা আহমাদ বলেন, ‘আমরা অনন্তকাল সহযোগিতা চাই না। তিন থেকে পাঁচ বছর সহযোগিতা পেলেই চলবে।’
(দ্য রিপোর্ট /এসআর/একে/আরকে/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)