ইমানুল হকের জন্ম পশ্চিবঙ্গে। বর্তমানে বিধাননগর সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগে অধ্যাপনায় নিযুক্ত। পশ্চিবঙ্গে সকল প্রশাসনিক কাজে বাংলা ব্যবহারের জন্য যারা কাজ করে যাচ্ছে ইমানুল হক তাদের অন্যতম। বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান লেখক বঙ্কিমের ওপর রয়েছে তার বিস্তর গবেষণা। ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘অমর একুশে গ্রন্থেমেলা ২০১৪’ তে মেলার মূলমঞ্চে বঙ্কিমের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবার জন্য তিনি ঢাকায় এসেছেন। অমর একুশে গ্রন্থমেলার আনুসঙ্গিক বিষয় নিয়ে তার সাথে কথা বলেছেন দ্য রিপোর্টের প্রতিবেদক মুহম্মদ আকবর

অমর একুশে গ্রন্থমেলার নিজস্বতা কোথায় বলে আপনি মনে করেন?

কলকাতার বইমেলা থেকে এটা অনেক পরিচ্ছন্ন এবং নানা দিক দিয়েই তাৎপর্যপূর্ণ। এখানকার মানুষ তাদের নিজ নিজ কর্মের অবসরে বই কেনার জন্য হোক কিংবা বিনোদনের জন্য হোক মেলায় ভিড় জমাচ্ছে। এটি একটি দেশের সাংস্কৃতিক অগ্রসর মানবতার পরিচায়ক। আর এখানকার মেলাটার যে ঐতিহাসিক প্রেক্ষপট সেটা কলকাতা কিংবা ভারতের অন্যত্র নেই। এখানকার মানুষের আবেগ ও উচ্ছাস আমাদের প্রেরণার উৎস।

এবারের মেলায় কোন ধরনের অসঙ্গতি চোখে পড়েছে কী?

কোন অসঙ্গতি চোখে পড়েনি। আগের তুলনায় মেলার পরিবেশ অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রথম থেকেই এখানকার মেলার সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। এবার মেলা প্রসারিত হওয়ায় আরো ভালো হয়েছে।

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রতা সম্পর্কে আপনার বক্তব্য জানতে চাই।

বাংলা ও বাঙালির তীর্থভূমি হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের চিন্তা ও চেতনা থেকে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের অনেক শেখার ও উপলব্ধির বিষয় আছে।

মেলার কোন বিষয়টা আপনাকে অভির্ভূত করেছে?

এর আগেও আমি এই মেলায় এসেছি। একটি মানুষকে (লেখক) ঘিরে বইমেলা জমে ওঠতে পারে, এই আগ্রহটাই আমাকে রীতিমত বিস্মিত করেছে। হুমায়ূন আহমেদ প্রয়াত হয়েছেন কিন্তু আজও মানুষের যে আগ্রহ দেখছি তাকে ঘিরে তা আমার মতো যেকোন ভিনদেশীকেই হতবাক করবে।

বাংলাদেশী মানুষের প্রতি আপনার কিছু বলার আছে কী?

নিজ নিজ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে রক্ষা করুন, নিজ দেশের মানুষ ও সংস্কৃতি শ্রদ্ধা করুন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/কেএম/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)