কবি অসীম সাহার জন্ম ১৯৪৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। তার লেখালেখি জীবন শুরু ১৯৬৪ সালে। ১৯৬৫ সালে ঢাকার পত্রিকায় ছোটদের জন্য লেখালেখির মুদ্রণ শুরু করেন। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছড়া, কিশোর কবিতা, গান প্রভৃতি রচনায় তিনি সিদ্ধহস্ত। অসংখ্য উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ও সম্মাননার পাশাপাশি কবিতায় সামগ্রিক অবদানের জন্য বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (২০১১) অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালকের দায়িত্বে আছেন। দ্য রিপোর্টের পক্ষে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আদিত্য রুপু

এবার মেলায় কী কী বই আসছে?

এবার মেলায় আমার ৬টি গ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্যে প্রবন্ধের বই প্রগতিশীল সাহিত্যের ধারাএনেছে ম প্রকাশনী। জয়তী এনেছে সংস্কৃতি রূপে অরূপেকবিতা টবিতা নিয়ে কিছু কথাএনেছে রাঁচী গ্রন্থ নিকেতন। লেখালেখির এলোমেলো নামতা পাঠপ্রকাশ করেছে কবি প্রকাশনী। অসীম সাহার সেরা কবিতাএনেছে শোভা প্রকাশ। প্রেমের কবিতা তোমারে কমু নাপ্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশ।

এবার প্রবন্ধের বই এতোবেশি কেন?

দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয়ে প্রচুর গদ্য লিখেছি। সবগুলো একত্রিত করে অনেকগুলো বই হয়ে গেল। সাহিত্যের নিবিষ্ট পাঠকেরা আনন্দ পাবেন বইগুলো পড়ে। আমার লেখালেখির জীবনে কখনোই নিয়মিত বই বের হয় নি। আমারও এই ব্যাপারে তাড়া ছিল না কোনো।

তোমারেকমুনাকাদেরজন্য?

সবার জন্যই। তবে, তরুণ পাঠকেরা বেশি ভালোবাসবে বইটিকে। এই বইটির নামকরণের পেছনে একটি মজার ঘটনা আছে। একবার যমুনার তীর ঘেঁষে যাচ্ছিলাম আমি। মাথায় কিছু পঙক্তি চলে এলো। যমুনার সঙ্গে কমু না মিল দিয়ে লিখে ফেললাম কবিতা। একগুচ্ছ প্রেমের কবিতা নিয়ে ‘তোমারে কমু না’। বইটিতে কবিতা আছে ৪০টি।

সবমিলিয়ে আপনার বইয়ের সংখ্যা কত?

আমার বইয়ের সংখ্যা খুবই কম। ৪৮ বছরের লেখালেখির জীবনে ৩৬টি বই আমার। বই প্রকাশের ব্যাপারে কখনোই তাড়াহুড়ো করিনি আমি। অন্য অনেকের যখন পাল্লা দিয়ে বই বের হচ্ছে তখন আমি বই প্রকাশে আরও বেশি সংযমী থেকেছি। ভালো কিছু লেখার চেষ্টা করেছি।

আপনি তো ছোটদের জন্যেও লেখেন!

শিশুসাহিত্য প্রকাশের মধ্য দিয়েই লেখালেখি শুরু করি। পরবর্তীতেও লিখেছি। আগামীতে বেশ কিছু লেখা লিখবার ইচ্ছে আছে। ছড়া লিখতে ভীষণ ভালোবাসি।

মেলায় নিয়মিত আসা হয়?

চেষ্টা করি নিয়মিতই আসতে। ব্যস্ততার জন্য বিরতি পড়লেও সুযোগ পেলেই ছুটে আসি।

বইমেলার স্থান সম্প্রসারণের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

সুন্দর ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অমর একুশে বইমেলাকে আগামীতে আরও বৃহত্তর পরিসরে উপস্থাপন করা ও বইয়ের গুরুত্বকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে পরিকল্পনা আছে সরকারের। আমাগী বছর অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা করবে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র। বিষয়টি এই মুহূর্তে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনাধীন।

(দ্য রিপোর্ট/এআর/কেএম/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)