দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : অঙ্কটা বেশ সহজ ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে শেষ ম্যাচে হারাও এবং প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলো। যদিও ম্যাচটিতে জয়ের দেখা পায়নি কলকাতা। রোহিত শর্মাদের কাছে ফিরতি লিগে হেরেও অবশ্য গৌতম গম্ভীররা প্লে-অফে পৌঁছে গেলেন।

এর পেছনে অবশ্য অন্যতম কারণ নাইটদের দুর্দান্ত রান রেট। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই যা শাহরুখ খান-জুহি চাওলার দলের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক। ১৪ ম্যাচে ১৬ পয়েন্টে শেষ করা কলকাতা নাইট রাইডার্সের নেট রান রেট দাঁড়াল +০.৬৪১। যা রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট (-০.০৮৩) এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের (+০.২৯৬) চেয়ে অনেকটাই বেশি। তাই শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে হেরেও প্লে-অফের দরজা খুলে ফেলল কেকেআর। 

শনিবার মুম্বাইয়ের কাছে ৯ রানে হার অবশ্য একটা কাঁটাও উপহার দিয়ে গেল নাইটদের। ম্যাচ জিতলে প্রথম দুইয়ের মধ্যে থাকা নিশ্চিত ছিল গম্ভীরদের। সে ক্ষেত্রে কোয়ালিফায়ার ওয়ান খেলতেন নাইটরা এবং সেই ম্যাচে হারলেও ফাইনালে ওঠার আরও একটা সুযোগ বরাদ্দ থাকত। কিন্তু বাস্তবে তা হলো না। নাইটরা প্লে-অফে উঠলেও পয়েন্ট টেবিলের তিন বা চার নম্বরেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে গম্ভীরদের।

শনিবারই গুজরাট লায়ন্সকে হারিয়ে ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে ডেভিড ওয়ার্নারের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আপাতত তারা তালিকায় দুই নম্বরে। রবিবার (১৪ মে) পুনেতে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। সেই ম্যাচে পুনে জিতলে তারা ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে পৌঁছে যাবে এবং কেকেআরকে এলিমিনেটর খেলতে হবে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। পাঞ্জাব জিতলে পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে পিছিয়ে থাকায় ছিটকে যাবে পুনে। সে ক্ষেত্রে গম্ভীরদের এলিমিনেটর খেলতে হবে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে।

শনিবার (১৩ মে) প্রথমে ব্যাট করে মুম্বাই তুলেছিল ১৭৩/৫। প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় আগের ম্যাচের দলের থেকে ছয়টি পরিবর্তন করেছিলেন রোহিত শর্মা। ৩৭ বলে ৬৩ রান করে মুম্বাইয়ের সর্বোচ্চ স্কোরার আম্বাতি রাইডু। হাফসেঞ্চুরি করেছেন সৌরভ তিওয়ারিও (৪৩ বলে ৫২)। জবাবে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে কেকেআর। এক সময় ৫৩/৪ হয়ে গিয়েছিল তারা। মনীশ পান্ডে (৩৩), কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (২৯) চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি।

ম্যাচ হেরে গম্ভীর দুষলেন ব্যাটসম্যানদের। তিনি বলেন, ‘এই উইকেটে রানটা তাড়া করা উচিত ছিল। দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলেছে ব্যাটসম্যানেরা। একজন ক্রিজে থাকলে ম্যাচ বার করে নেওয়া যেত। কিন্তু ব্যাটসম্যানেরা সব বলেই ব্যাট চালিয়ে গেল।’

(দ্য রিপোর্ট/এনপিএস/এম/মে ১৪, ২০১৭)