আওয়ামী লীগ
উপজেলার আড়ালে সংরক্ষিত নারী আসন নির্বাচন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আগামী ২৯ মার্চ দশম সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে তেমন তোড়জোড় লক্ষ্য করছেন না সংশ্লিষ্টরা।
দলীয় মনোনয়নপত্র ক্রয়কারী শিপ্রা আহমেদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, অনেক আগেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু এখন তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর কোনো গতি লক্ষ্য করছি না। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা ব্যস্ত আছেন। আমরা নিয়মিত নেত্রীর (শেখ হাসিনার) রাজনৈতিক কার্যালয়ে যাওয়া-আসা করছি।
নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা জানতে চাইলে দলের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ দ্য রিপোর্টকে বলেন, দলীয়ভাবে আমাদের প্রস্তুতি আছে। এখন নেত্রীর পরামর্শ পেলেই মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে। উপজেলা নির্বাচন চলছে, অন্যদিকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের তফসিল অনুযায়ী সময়ও আছে। দু’একদিনের মধ্যেই মনোনয়ন চূড়ান্ত হতে পারে।
৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট পাচ্ছে ৪১টি আসন । এর মধ্যে আওয়ামী লীগ পাচ্ছে ৩৮টি আসন। এর বিপরীতে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছেন ৮২২ জন । আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকারপর্ব সারা হয়েছে গত ১৯ জানুয়ারি। এর আগে ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি প্রতিটি মনোনয়নপত্র ২৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করে দলটি। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ তাদের জোটে তরিকত ফেডারেশন ও বিনএফকে অন্তর্ভুক্ত করলেও দল দুটি নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে এই বিষয়ে অবহিত না করায় নির্বাচন কমিশন দল দুটিকে আওয়ামী লীগের জোটে অন্তর্ভুক্ত করেনি। দশম সংসদে আওয়ামী লীগ বেসরকারিভাবে ২৩৪টি আসনে জয়লাভ করে। টাঙ্গাইল-৮ আসনের এমপির মৃত্যুর কারণে একটি আসন শূন্য হয় এবং দুটি আসন নিয়ে আইনগত জটিলতা থাকায় বর্তমানে দলটির গেজেটেড আসন ২৩১টি ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ৩৮টি আসনে আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন । নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময়ের মধ্যেই আমরা তালিকা দিতে পারব।
আনুপাতিক হারে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ৩৪ আসনের বিপরীতে মহিলা আসন পাচ্ছে ছয়টি এবং স্বতন্ত্র জোটের ১৬ এমপি পাচ্ছে তিনটি সংরক্ষিত মহিলা আসন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ৪ মার্চ, মনোনয়নপত্র বাছাই ৬ মার্চ এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মার্চ।
সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রার্থীদের মনোনয়নের তালিকা দলীয়ভাবে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়। তারই ভিত্তিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সব দলের মনোনীত নারীরা ।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে ১৫টি আসনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ১৯৭৮ সালে ৩০টি, ২০০৪ সালে ৪৫টি এবং সর্বশেষ ২০০৯ সালের নবম সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে উন্নীত হয়।
(দ্য রিপোর্ট/বিকে/এইচএসএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)