স্পোর্টস এডিটর, দ্য রিপোর্ট : বর্ণিল কোনো আয়োজন নেই। মঙ্গলবার আসরের উদ্বোধন বলেও নেই বাড়তি ‘কিছু’ বিশেষত্ব। তবে চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায়; এমন সাদা-মাটা শুরুর ম্যাচে ২ দলের লক্ষ্য অভিন্ন; চাই সূচনাতেই জয়। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠছে এশিয়া কাপের ১২তম আসর। চলছে প্রতিপক্ষকে আটকানোর নানা ফন্দি-ফিকির। ২ পক্ষই তুলির আঁচরে আঁকছে নানা ছক; আটছে যুঁতসই কোনো ঘায়েলের কৌশল!

দীর্ঘ একমাস শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের মাটিতে অভ্যস্ত হয়েই মাঠে নামছে। সেখানে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জন্য একটু নতুন আঙিনাই বটে। তবে প্রায় একই কন্ডিশন বলেই খুব দুঃচিন্তা নেই পাকিস্তানের। তবে মোদ্দাকথা ২ দলই চোখ রাখছে জয়ে।

ফতুল্লাস্থ খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামও প্রস্তুত শতভাগ। উদ্বোধনী ম্যাচটি শুর হচ্ছে বেলা ২টায়। দেখাবে বিটিভি ও চ্যানেল নাইন এবং স্টার পরিবারের কোনো একটি চ্যানেল।

এশিয়া ‍কাপে ১১ আসরে শুধু গতবারই ফাইনাল খেলেনি শ্রীলঙ্কা। এবার শুরু থেকেই শিরোপার লক্ষ্যে অবিচল থাকছে তারা। মাঠে নামার আগে অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস বলেছেন, ‘আমরা এক মাস ধরে এখানে আছি। কন্ডিশন ও মাঠ পরিচিত হয়ে উঠেছে। খেলার মধ্যেই ছিলাম আমরা। সব কিছু ঠিকভাবে চলছে।’ যোগ করেছেন আরও, ‘প্রত্যেকটা বিভাগে সেরা পারফর্ম করাই থাকবে লক্ষ্য। নিয়ামক হয়ে ওঠবে স্পিন। সব দলেই ভালো স্পিনার আছে। কে কত ভালো স্পিন মোকাবিলা করতে পারবে তাই প্রধান। আমাদেরও ভালো স্পিনার আছে।’


খুব বেশি দিন হয়নি; গত ডিসেম্বরেই সাক্ষাৎ-লড়াইয়ে মুখোমুখী হয়েছিল তারা। ডিসেম্বরে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আসরে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শ্রীলঙ্কা ৩-২ ব্যবধানে হেরেছিল। এ ছাড়া গত আসরে পাকিস্তানের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজেছিল। ফলে ২ ঘটনাই ম্যাথুসকে উদ্বেলিত করতে পারে। প্রতিশোধের অনল জ্বলে উঠতে পারে রক্তে। রাতের ম্যাচে শিশির নায়ক হয়ে উঠতে পারে। সেখানে টস জয়ের সঙ্গে থাকছে নানা সমীকরণও।

উদ্বোধনী ম্যাচসহ ৫টি ম্যাচ হবে ফতুল্লাতে। ফাইনালসহ বাকি ৬টি ম্যাচ মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৮৮, ২০০০ ও ২০১২ সালের পর এটি বাংলাদেশে এশিয়া কাপের চতুর্থ আসর।

২ বছর পর অনুষ্ঠিত আসরে এবার দলের সংখ্যা ৫টি। এশিয়ার ক্রিকেট-শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে এবার ৪ টেস্টখেলুড়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা খেলছে। আর তারা পাচ্ছে নতুন সঙ্গী আইসিসির সহযোগী সদস্য আফগানিস্তান। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে খেলা যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে নিয়ে সব দলেরই বাড়তি আগ্রহ থাকছে। তারা যে কোনো দলের জন্য হুমকিও হয়ে উঠতে পারে।

এশিয়া কাপে ভারত সর্বোচ্চ ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের পরই রয়েছে শ্রীলঙ্কা; শিরোপা ছুঁয়ে দেখেছে ৪ বার। তারা আবার চলতি আসরের টপ ফেভারিটও।

এদিকে স্বাগতিক বাংলাদেশের ম্যাচ বৃহস্পতিবার। সবশেষ সংবাদ সম্মেলনে অনাহূত কথা বলায় এশিয়া কাপ চলার সময় ক্রিকেটারদের কথা বলা মানা। দল নির্বাচন নিয়ে অধিনায়ক মুশফিক উষ্মা প্রকাশ করেছিল। তাই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার নাজমুল করিম টেংকু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘ম্যাচের আগের দিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ম্যাচের দিন পোস্ট ম্যাচে ক্রিকেটাররা কথা বলবেন।’ উল্লেখ্য বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টোয়েন্টি-২০ সিরিজ চলাকালে চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা মিডিয়ার মুখোমুখি হননি ক্রিকেটাররা। বুধবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।

(দ্য রিপোর্ট/এএস/ এমডি/এএল/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)