৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ
যমুনা ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আমদানিকৃত পণ্য বিদেশে রপ্তানি না করে খোলা বাজারে বিক্রির মাধ্যমে প্রায় ৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যমুনা ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সোমবার কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এ চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুদক সূত্র দ্য রিপোর্টকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আসামিরা হলেন- রায়হান প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুফ হোসাইন, যমুনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসইভিপি) বেলাল হোসেন, অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) একেএম শাহ আলম, সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এফএভিপি) বিপ্লব কুমার চক্রবর্তী এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স আজমিরী ইন্টারন্যাশনালের মো. আবু তাহের।
দুদক সূত্র জানায়, আসামি মো. ইউসুফ হোসাইন যমুনা ব্যাংকের ঢাকার শান্তিনগর শাখার কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ও তার মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সহায়তায় বন্ডেড ওয়্যার হাউসের আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে ভারত থেকে মোট ১২ হাজার ৯৯ দশমিক ৯১ মেট্রিক টন কোটেড ডুপ্লেক্স বোর্ড আমদানি করেন। মোট ১৩টি এলসির মাধ্যমে এ সব আমদানি করা হয়। এগুলো দ্বারা প্যাকেজিং সামগ্রী প্রস্তুত করে রপ্তানি করার কথা থাকলেও আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশ তা রপ্তানি না করে খোলা বাজারে বিক্রি করে মোট ৮ কোটি ১ লাখ ৬৫ হাজার ২৭৮ টাকা আত্মসাৎ করেন, যার মধ্যে যমুনা ব্যাংকের এলসি বাবদ পাওনা হচ্ছে ৪ কোটি ৬৫ লাখ ২২ হাজার ২৪৮ টাকা এবং রেয়াতপ্রাপ্ত কর সুবিধা বাবদ ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩০ টাকা। ২০১১ সালের ২৫ জুলাই থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এলসির মাধ্যমে এই সব দ্রব্যসামগ্রী আমদানি করা হয়।
২০১৩ সালের ২৬ মে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলার প্রায় এক বছর তদন্তের পর দুদকের কাছে অভিযোগটি সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এমডি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)