দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আপন জুয়েলার্স থে‌কে জব্দ করা স্বর্ণগু‌লো বৈধ না কি অ‌বৈধ তা প্রমাণের জন্য শুল্ক গোয়েন্দা যে কাগজপত্র চেয়েছে তা জমা দেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় চেয়েছে জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর কার্যালয়ে বুধবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এ সময় অন্য দুই মালিক তার ভাই আজাদ আহমেদ ও গুলজার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দিলদার আহমেদ দাবি করেন, শুল্ক গোয়েন্দা যে সব কাগজপত্র চেয়েছে আমরা তা জমা দেব। তবে আমাদের কাছে কোনো অবৈধ মালামাল নেই। শুল্ক গোয়েন্দারা তাদের কাজ করছেন। তারা আমাদের কাছে যেসব ডকুমেন্টস চেয়েছেন আমরা সেগুলো জমা দেওয়ার জন্য পনেরো দিন সময় চেয়েছি। আমরা আমাদের পেপার্স শো করবো। একই সঙ্গে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ‌তি‌নি বলেন, আপন জুয়েলার্স ৪০ বছরের প্রতিষ্ঠান। এ প্র‌তিষ্ঠা‌নের মাধ্য‌মে ২ লাখ মানু‌ষের সংসার চ‌লে। আমাদের অবৈধ কোন কিছু নেই। সব কিছুরই বৈধ কাগজপত্র আছে। সেগুলো জমা দেওয়াটা সময়ের ব্যাপার। গত পাঁচ বছর ধরে কিন্তু কোন স্বর্ণের আমদানি নাই।

রিসাইকেলিং করেই এই গোল্ডগুলো বানানো হয়। আমি যেভাবে ব্যবসা করি, সারা বাংলাদেশও একইভাবে ব্যবসা করে। তাই আপন জুয়েলার্স যদি বন্ধ করা হয় তাহলে সারা বাংলাদেশের জুয়েলার্সও বন্ধ করতে হবে। স্বর্ণ ব্যবসার উৎসে যে অস্বচ্ছতা আছে আপনি কি সেটা স্বীকার করেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ‌তি‌নি বলেন, আমি বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সেক্রেটারি ছিলাম। তখন অনেকবার বলা হয়েছিল ব্যবসায়ীদের একটা নীতিমালা করার জন্য। কিন্তু আমরা সেটা করতে পারি নাই। একটা ব্যবসায় নীতিমালা থাকা উচিত। কারণ এখানে কিন্তু জবাবদিহিতার একটা প্রশ্ন থাকে। সবশেষে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন আপন জুয়েলার্সের এই মালিক বলেন, আমি যদি কোন ভুল করে থাকি তাহলে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। আমাকে আপনারা ক্ষমা করবেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এপি/এনআই/মে ১৭, ২০১৭)