দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : তাজরীন ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে শুনানি আগামী ৬ মার্চ ধার্য করেছে আদালত।

ঢাকা জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মজিদের আদালতে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টায় এ আবেদন করা হয়। তার আইনজীবী এটিএম গোলম গাউস জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার দেলোয়ার হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। একই দিনে তার আইনজীবী এটিএম গোলম গাউস ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম তাজুল ইসলামের আদালতে জামিন চান। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক একেএম মহসিনুজ্জামান খান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তাজরীনের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন কারাগারে রয়েছেন এবং তাজরীন ফ্যাশনের চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার মিতা জামিনে আছেন। পলাতক রয়েছেন- প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, কোয়ালিটি ম্যানেজার শহীদুজ্জামান, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জু ও ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক।

চার্জশিটে বাকি যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনারুল, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল-আমিন, স্টোর ইনচার্জ আল-আমিন এবং লোডার শামীম মিয়া। এর মধ্যে আনিসুর রহমান আটক রয়েছেন। বাকি ৬ জন জামিনে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনের ওই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১২ জন নিহত এবং দুইশতাধিক শ্রমিক আহত ও দগ্ধ হন।

পরদিন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় নাশকতার পাশাপাশি অবহেলাজনিত মৃত্যুর দণ্ডবিধির ৩০৪(ক) ধারা যুক্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ৩০৪(ক) ধারা অনুযায়ী ‘অপরাধজনক নরহত্যা’ ও ‘অবহেলার কারণে মৃত্যুর’ অভিযোগ আনা হয়, যার প্রথমটিতে তদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দ্বিতীয় ধারায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছর জেল হতে পারে।

(দ্য রিপোর্ট/জেএ/এমসি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)