দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বজ্রপাত মোকাবেলায় এক লাখ তাল গাছ রোপন করবে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন।

রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শুক্রবার (১৯ মে) ‘জীববৈচিত্র রক্ষায় ও বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে পরিবেশ উপযোগী বৃক্ষরোপন’ বিষয়ক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মো. আনোয়ার সাদাত এ কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন।

আনোয়ার সাদাত বলেছেন, ‘এক বছরে বাংলাদেশে বজ্রপাতের প্রকোপ বেড়েছে। এ বছর বজ্রপাতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ মরা গেছে এখানে। তালগাছসহ উঁচু গাছ কমে যাওয়ায় দেশে বজ্রপাতের প্রকোপ বেড়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তালগাছ উঁচু। তাই আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এ বছর আমরা বজ্রপাতের নিরোধক হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এক লাখ তালের বীচি রোপন করব।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘দেশের প্রচলিত বহু দিনের ধারণা অনুয়ায়ী উঁচু বিধায় তাল গাছ বজ্রপাত প্রতিরোধ করতে পারে। ঝড়-বৃষ্টিতে গাছ ভিজে গেলে সহজে বিদ্যুত প্রবেশ করে মাটিতে প্রবাহিত হতে পারে। এই কারণে তালগাছ বজ্রপাত নিরোধক হিসেবে কাজ করতে পারে।’

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জল-পরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট পানি প্রকৌশলী ম ইনামুল হক বলেছেন, ‘সরকারের কান্ডজ্ঞানহীন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মুক্ত জলাশয় ইজারা দিয়ে মাছের প্রজননের অধিকার আটকে দিয়েছে। বৈশাখ মাসে মা মাছেরা ডিম ছাড়তে উজানে আসে। এটা মাছের অধিকার। কিন্তু মুক্ত জলাশয় ইজারা দিয়ে মাছের এ অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘মুক্ত জলাশয়ের ইজারা পেয়ে ইজারাদাররা বাঁধ দিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে। এতে মাছের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র ধ্বংস হয়েছে। ’

ইনামুল হক বলেছেন, ‘কৃষি কর্মকর্তাদের অদূরদর্শিতা, গোজামিল ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় হাওড় অঞ্চলের অকাল বন্যায় অতিমাত্রায় ধানের ক্ষতি হয়েছে। এবার হাওড় অঞ্চলে বাড়তি ফলনের আশায় বিআর২৯ ধান লাগানো হয়েছে। এছাড়া এবছর ধান অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেরিতে লাগানো হয়। তাই আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ধানের ৫০ ভাগেরও শীষ আসেনি। জীবনকাল কম এমন কোন জাতের (যেমন বিআর১৫, ১৬ ইত্যাদি) ধান লাগালে বা কার্তিক মাসে বিআর২৯ এর বীজতলা তৈরি করে ধান লাগালেও এতো ক্ষতি হতো না। অন্য জাতের ধান লাগালে অকাল এই বন্যার আগেই হাওড় অঞ্চলের কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারতো।’

পানি প্রকৌশলী ইনামুল বলেছেন, ‘এসব ব্যাপারে দায়িত্ববান কৃষিবিদরা কেন ব্যবস্থা নেননি তার কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।’

সভায় অন্যান্যের মধ্যে কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন, নদী বাঁচাও আন্দোলনের সহ-সভাপতি মো. ইকরাম এলাহী খান সাজ বক্তব্য দেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/আরএমএম/জেডটি/মে ১৯, ২০১৭)