দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে মুসলিম জাতির পিতা বলা হয়। তাঁকে কুরআনে ‘মিল্লাতা আবিকুম ইবরাহিম’ বলে ঘোষণা করেছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। তিনি মুসলিম জাতির জন্য সর্বপ্রথম গুরুত্বপূর্ণ মর্তবাসম্পন্ন কিছু কাজের প্রবর্তন করেছেন। যা পালন করা মুসলিম উম্মাহর জন্য আবশ্যক করণীয় হয়ে আছে।

হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ মুয়াত্তাসহ অনেক হাদিস গ্রন্থে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের প্রবর্তিত অবশ্য করণীয় কাজগুলোর কথা উঠে এসেছে। যা আমরা কমবেশি সবাই জানি- তবুও একবার দেখে নিলে মন্দ কি।

সুন্নাতে খাতনা : তিনিই সর্বপ্রথম খৎনার প্রচলন করেন। যা পুরুষ মানুষকে অনেক রোগ-ব্যাধি থেকে হেফাজত করে।
* মেহমানদারী করা : মেহমানদারীতে রয়েছে অফুরন্ত রহমত ও বরকত।
* নখ কাটা : হাত ও পায়ের নখ কাটার মাধ্যমে মানুষ অনেক রোগ-বালাই ও অপবিত্রতা থেকে রক্ষা পায়।

* গোঁফ ছেঁটে রাখা : কারণ গোঁফ বড় হলে মানুষের খাদ্য গ্রহণে অসুবিধা হয়। গোঁফে অনেক ময়লা-নোংরা লেগে থাকে, যা থেকে রোগব্যাধির সম্ভাবনা থাকে। তাই গোঁফ ভেজানো পানি মুসলমানের জন্য হারাম করা হয়েছে।
* মিম্বারের ওপর দাঁড়িয়ে ভাষণ প্রদান করা।
* দূত প্রেরণ করা।
* তরবারি পরিচালনা করা(আত্মরক্ষার্থে সঙ্গে রাখা): শত্রুর আক্রমণ থেকে নিজেকে এবং ইসলামের প্রচার, প্রসার ও হেফাজত করতে তরবারির ব্যবহার।
* মিসওয়াক করা : প্রত্যেক নামাজের আগে মিসওয়াক করা অত্যন্ত সাওয়াবের কাজ।
* পানি দ্বারা শৌচক্রিয়া সম্পাদন করা এবং পায়জামা পরিধান করা।(মুয়াত্তা মালিক)।

হাদিসে উল্লেখিত কাজগুলো আল্লাহ তাআলার অত্যধিক পছন্দনীয়। তাছাড়া এ কাজগুলোর অধিকাংশই উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য বিশ্ব নবীর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাতও বটে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হজরত ইবরাহিম আলাইহি সালামের প্রবর্তিত কাজগুলোকে যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন।

(দ্য রিপোর্ট/একেএ/এনঅই/মে ২০, ২০১৭)