দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : রাজধানীসহ সারাদেশে হঠাৎ করেই বেড়েছে চিকনগুনিয়া জ্বরের প্রকোপ। অনেকেই এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। রোগের কারণ এবং জ্বর হলে করণীয় এ বিষয়ে না জানার কারণে বাড়ছে ভীতি।

এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ শাইখ আব্দুল্লাহর সাথে। তিনি দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোগের কারণ, লক্ষণ ও করণীয় সম্পর্কে।

যা দ্য রিপোর্টের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

 

রোগের কারণ

চিকনগুনিয়া নামে ভাইরাসজনিত রোগটি মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস যে এডিস মশা বহন করে, সেই মশাই চিকুনগুনিয়া ভাইরাসও বহন করে। চিকনগুনিয়া ভাইরাসবাহী মশার কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তির তিন থেকে চার দিনের মতো শরীরের জ্বর থাকে।

জ্বরের লক্ষণ

ডেঙ্গুর মতই এর লক্ষণ। মশার কামড় থেকেই এই জ্বরের শুরু। হাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা, গিটে গিটে ব্যথা ও শরীর প্রচণ্ড দুর্বল থাকবে এই রোগে, থাকবে মাথা ব্যথা। এক কথায় ডেঙ্গু জ্বরের যে লক্ষণ এবং চিকনগুনিয়ার লক্ষণগুলো প্রায় একই রকম। শুধু পার্থক্য যেটা দেখা যায়, সেটা হলো, ডেঙ্গু জ্বর হলে রক্তের কার্যক্ষমতা কমে যায়। এবং রোগীর ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে চিকনগুনিয়ার ঝুঁকিটা অনেকটা কম। কিন্তু জ্বর তিন দিনে সেরে গেলেও, শরীর দুর্বল, ব্যথা, গিটে গিটে ব্যথা ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত থেকে যায়।

চিকনগুনিয়া জ্বর হলে করণীয়

এই জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, সাথে ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে। লেবুর শরবত খেতে হবে। সেই সাথে ওরস্যালাইনও খাওয়া যেতে পারে এবং বিশ্রামে থাকতে হবে।

চিকিৎসা

চিকনগুনিয়া জ্বরের এখনো কোন ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা শুরু হয়নি। প্রাথমিকভাবে ডেঙ্গুর পরীক্ষা করা হয়। যদি ডেঙ্গু জ্বর না ধরা পরে, তাহলে ধরে নেওয়া হচ্ছে এটি ‘চিকনগুনিয়া’। এই ধরনের রোগীদের সাধারণত নাপা অথবা প্যারাসিটামল দেওয়া হচ্ছে। এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কোনো দরকার নেই।

(দ্য রিপোর্ট/এফএস/এনআই/মে ২১, ২০১৭)