নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থেকে অপহৃত ছাত্রী লাবণ্যকে অবশেষে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে আড়াইহাজার থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে।

 

রবিবার (২১ মে) সন্ধ্যায় লাবণ্যকে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় আড়াইহাজার থানা পুলিশ লাবন্যকে উদ্ধার করে।

 

আড়াইহাজারে ইন্টারনেটে ছবি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গত শুক্রবার (১৯ মে) বিকেল আড়াইটার দিকে লাবণ্যের সহপাঠি ঝাউগড়া এলাকার জামালউদ্দিনের ছেলে ফাহিম তার বন্ধুদের সহযোগিতায় আসিক মার্কেটের সামনে থেকে লাবণ্যকে অপহরণ করে।

গ্রেফতার ফাহিম আড়াইহাজার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানা গেছে।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহৃতা খাদিজা আক্তার লাবণ্য অপহরণের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, ফাহিম ইন্টারনেটে ছবি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ফাহিম তার সহযোগিদের সহায়তায় তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঐ দিন বিকেলে ফাহিম তার অজ্ঞাত বন্ধু ও এক মহিলার মাধ্যমে তাকে ঢাকার একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। ফাহিমকে যেন সন্দেহ না করে সেই জন্য ফাহিমের সেখানে পরে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সেখানে যাওয়ার আগেই ফাহিম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি ফাহিমের সঙ্গে জড়িত অপহরণকারীরা জানতে পেরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে লাবণ্যের পরিবারের বিভিন্ন মোবাইলে ফোন করে। সেই ফোনের সূত্র ধরে লাবণ্যের স্বজনরা ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় বিভিন্নস্থানে খোঁজ করে।

লাবণ্য পুলিশকে আরও জানিয়েছে, অজ্ঞাত অপহরণকারীরা তাকে কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে তাকে কোথায় নিয়ে রেখেছে বা কারা তাকে সেখানে ছেড়ে দিয়ে গেছে তা সে চিনতে পারেনি।

লাবণ্যের বাবা হাজী মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে লাবণ্যের হাতে লেখা একটি চিরকুট বাড়িতে আসে। এরই সূত্র ধরে থানায় ফাহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। পরে ফাহিম গ্রেফতার হলে পুলিশ রবিবার (২১ মে) তাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠায়। কিন্তু ফাহিম গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সে অপহরণের কথা পুলিশের কাছে অস্বীকার করে আসছে।

অপহরণ মামলার তদন্তকারী অফিসার উপপরিদর্শক মাহফুজ রানা জানিয়েছেন, লাবণ্যকে উদ্ধার করার পরে সোমবারে (২২ মে) মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং তার জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নেওয়া হবে।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, থানায় করা অভিযোগের সঙ্গে লাবণ্যের বক্তব্যের মিল পাওয়া গেছে। তবে তার বক্তব্য আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়া অপহরণের সঙ্গে জড়িত বাকিদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/এআরই/মে ২২, ২০১৭)