দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশ উপজেলার শামসুল হককে হত্যার দায়ে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তার ছেলেকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় পাঁচজনকে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এ রায় দেন। আদালত মামলা থেকে ১৩ জনকে খালাস দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পলাশ উপজেলার গালিমপুর গ্রামের আবদুল গাফফার, মারফত আলী, আলেক মিয়া, মোছা. রুপবান, শরীফ মিয়া, আরিফ মিয়া ও তোতা মিয়া। শরীফ ও আরিফ দণ্ডপ্রাপ্ত আলেক মিয়ার ছেলে এবং রূপবান তাঁর স্ত্রী। আর পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবদুল গাফফার, শরীফ মিয়া, আরিফ মিয়া, ফারুক মিয়া ও বাছির মিয়া।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শামসুল হক ও দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা একই গ্রামের প্রতিবেশি। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধের সূত্র ধরে আদালতে মামলাও হয়েছে। পূর্ব ঘটনার সূত্র ধরে ২০০৯ সালের ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় শামসুল হকের ছেলে জহিরুল হককে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করেন। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে বাড়ির কাছে বাবা ও ছেলেকে পেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কুপিয়ে আহত করে পাশের একটি পুকুরে ফেলে চলে যান। এতে শামসুল হক মারা যান। এ ঘটনার পরদিন শামসুল হকের স্ত্রী নূর জাহান বেগম বাদী হয়ে গাফফার মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/মে ২২, ২০১৭)