রাজশাহী অফিস : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হলের ১ নম্বর ডরমেটরির বারান্দা থেকে এইচএসসি পরীক্ষার ১০০টি খাতা (উত্তর পত্র) উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ মে) বিকেল ৬টার দিকে ওই খাতাগুলো উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন-রাজশাহী নিউ গভর্মেন্ট ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী শিক্ষক ড. আবুল কালাম ও শাহমখদুম কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মাসুদুল হাসান।

রাবির প্রক্টর অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ খবর পেয়ে বিকেলে ওই হলে তল্লাশী চালায়। সেখান থেকেই খাতাগুলো উদ্ধার করা হয়। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের ওই খাতাগুলো রাজশাহী নিউ গভর্মেন্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবুল কালামকে মূল্যায়ন করতে দেওয়া হয়েছিল।

এ ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ বলেছেন, ‘খাতাগুলো রাজশাহী নিউ গভর্মেন্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবুল কালামকে মূল্যায়ন করতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তিনি সেটি না করে শাহমখদুম কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ও এমপি থ্রিরির পরিচালক মাসুদুল হাসান নামের এক ব্যক্তিকে দেন। মাসুদ পরবর্তীতে তার বান্ধবীকে দিয়ে খাতাগুলো মূল্যায়ন করতে দেন।’

প্রক্টর সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘প্রেমিকের নিকট থেকে ওই ছাত্রী খাতগুলো নিয়ে মন্নুজান হলেই মূল্যায়ণ করছিলেন। তিনি ওই হলেই থাকেন। কিন্তু তিনি কে-তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ ওই কক্ষে ১০০ জন ছাত্রী থাকে। তাদের মধ্যে কেউ একজন খাতাগুলো মূল্যায়ণ করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।’

বোর্ড কর্মকর্তারা উত্তরপত্র উদ্ধারের পর পরীক্ষক রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড. আবুল কালাম এর বাড়ি রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে অবশিষ্ট দুইশত উত্তরসহ তাকে শিক্ষা বোর্ডে নিয়ে আসেন। পরে শাহমখদুম কলেজের প্রভাষক মাসুদুল হাসানকেও সেখানে হাজির করা হয়।

এ ব্যাপারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে পরীক্ষক আবুল কালাম বলেন, ‘কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, অসুস্থতার কারনে সহযোগিতা নিতেই উত্তরপত্রগুলো শিক্ষক মাসুদুলকে দিয়েছিলেন। তবে উত্তরপত্রগুলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুন্নুজান হলে কিভাবে গেল তা সদুত্তর দিতে পারেননি মাসুদুল।’

রাজশাহী বোর্ডের পরীক্ষা নিয়স্ত্রক তরুণ কুমার সরকার বলেন, ‘খাতাগুলো হলে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। কিন্তু কিভাবে খাতাগুলো হলে গেলো এই বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি। উদ্ধারকৃত খাতাগুলো শিক্ষা বোর্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এ ঘটনায় দুই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।’

(দ্য রিপোর্ট/এজে/জেডটি/মে ২২, ২০১৭)