দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম আসরটি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে বসেছিল, এটি গর্ব করার মতো। তখন অবশ্য এটিকে আইসিসি নক আউট ট্রফি বলা হতো। প্রতিযোগিতার মূলপর্বে না খেললেও এই টুর্নামেন্ট দিয়েই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হয়।

২০০৯ ও ২০১৩ সালের পর বাংলাদেশ আবার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ফিরে এসেছে। কারণ বিশ্বকাপের পরে এটিই ৫০ ওভারের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রতিযোগিতাটির গুরুত্ব অনেক।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বশেষ দুই আসরে অংশ নেওয়া হয়নি বাংলাদেশের। তবে এবারই প্রথম র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষ আটে থেকে টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণ করছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার মনে করছেন আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো খেলবে বাংলাদেশ। আইসিসির ওয়েবসাইটে লেখা এক কলামে এমন আশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের এই নির্বাচক।

ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে আগামী ১ জুন ইংল্যান্ডের মাটিতে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপের পর সবচেয়ে সম্মানিত আসর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আর এ আসরে গত দুই আসরে অংশ না নেওয়ার হতাশাও কাটাবে বাংলাদেশ। গত দুই বছরে ওয়ানডে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের ইঙ্গিত করে বাশার লেখেন, ‘শেষ দুই বছরে আমাদের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। ঘরের মাঠে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছি। আর র‌্যাংকিংয়ের ভালো অবস্থানে থাকায় টুর্নামেন্টে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’

এদিকে ইংল্যান্ডে মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হওয়ায় কন্ডিশন নিয়ে কিছুটা চিন্তিত বাশার। তবে এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর কথা জানিয়ে বাশার লেখেন, ‘সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ এবং মাশরাফিরা অনেক অভিজ্ঞ। তারা দলে দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। সঙ্গে রয়েছে মোস্তাফিজ-সৌম্যদের মত তরুণরা। সব মিলিয়ে তারা বাংলাদেশকে অনেকদূর এগিয়ে নেবে।’

এদিকে ইংল্যান্ডের উইকেটের উপরও বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নির্ভর করছে বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশের এই নির্বাচক লেখেন, ‘ইংল্যান্ডের উইকেটের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে। যেহেতু ম্যাচগুলো শুরু হবে জুনের প্রথম দিকে আর যদি শুষ্ক মৌসুম থাকে তাহলে স্পিনারদের কাজটা সহজ হবে। তাছাড়া আমাদের যে পেস আক্রমণ আছে তা বিশ্বসেরা দলকেও ভোগান্তিতে ফেলার সামর্থ্য রাখে। আমি বিশ্বাস করি, মোস্তাফিজ, মাশরাফি, তাসকিন ও রুবেলরা নিজেদের কাজটা ঠিকভাবেই করতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছে। এই সিরিজটা ইংলিশ কন্ডিশনটা বুঝে উঠতে দারুণ সাহায্য করবে। দলটিতে দারুণ সব ব্যাটসম্যান ও বোলার আছে। তাই বা্ংলাদেশের ভালো খেলার বিষয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’

(দ্য রিপোর্ট/এনপিএস/মে ২৩, ২০১৭)