চট্টগ্রাম অফিস : দুর্ঘটনায় কবলিত বিমান, যাত্রীদের উদ্ধার এবং করণীয় প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিমান দুর্ঘটনার মহড়া। মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ এ মহড়ার আয়োজন করে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য এয়ার কমোডর এম মোস্তাফিজুর রহমান দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মহড়ার দৃশ্যপট ছিল, যাত্রী ও ক্রুসহ ৫৭ জনকে নিয়ে এবিসি এয়ার ওয়েজের একটি মাঝারি ধরনের বিমান যার কলসাইন জুলিয়েট ৩১১, রানওয়ের পূর্বদিক থেকে অবতরণের জন্য অগ্রসর হচ্ছিলো। ঠিক সে মুহূর্তে পাইলট তার কন্ট্রোল টাওয়ারকে বললেন যে তার উড়োজাহাজের দুটি ইঞ্জিনই বন্ধ হয়ে গেছে এবং ককফিটে ধোঁয়া চলে এসেছে।

সে সময় টা্ওয়ার কন্ট্রোল লক্ষ্য করে দেখলেন যে বিমানটি রানওয়ের মধ্য রেখা বরাবর অগ্রসর না হয়ে কৌনিকভাবে আসার চেষ্টা করছে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় মনে হচ্ছে। বিমানটি অতঃপর রানওয়ে থেকে ৫০০ ফুট পরে রানওয়ে স্পর্শ করে বেশ জোর বেঁধে সামনের দিকে ধাবিত হতে থাকে।

আরো লক্ষ্য করা যায়, বিমানটি হঠাৎ করে বায়ে সরে গিয়ে রানওয়ের দক্ষিণ পাশে বিমান জিএসইর সামনে ছিটকে পড়ে। বিমানের নিচের অংশে আগুন দেখা দেয়। এর ডান পাখাটি ভেঙে ছিটকে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে বিধ্বস্ত বিমানটি যখন থেমে যায় তখন তাতে পুরোপুরি আগুন ধরে যায়।

এ অবস্থায় উদ্ধার কাজে ঝাপিয়ে পড়ে বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীরা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ মহড়ায় দুর্ঘটনা কবলিত বিমানে আগুন লাগার পর যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তায় করণীয় নানা কৌশল প্রদর্শন করা হয়। মহড়ায় আরো অংশ নেয় কোস্টগার্ড, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ান, র‌্যাব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, আনসার ও বিএনসিসি।

মহড়ায় ক্রুদের দক্ষতা, দুর্যোগে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির উপযোগিতাসহ নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। এ সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য এয়ার কমোডর এম মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/এপি/মে ২৩, ২০১৭)