দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশে বিড়ির অস্তিত্ত্ব থাকবে না, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বিড়ি শ্রমিকরা। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

সমাবেশে বক্তরা বলেছেন, যতদিন এ দেশে সিগারেট থাকবে ততদিন বিড়িও থাকবে। কারণ, বিড়ি এ দেশেরই সম্পূর্ণ কাঁচামালে তৈরি; গরিব মানুষ তৈরি করে এবং গরিব মানুষ খায়।

দুই বছরের মধ্যে বিড়ি শিল্প বিলুপ্তির যে ঘোষণা অর্থমন্ত্রী দিয়েছেন এর জন্য তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে শ্রমিকনেতারা বলেছেন, ‘যদি এই পথে অর্থমন্ত্রী অগ্রসর হন তাহলে বাংলাদেশের বিড়ি শ্রমিকরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ ঘটাবে।’

বক্তরা আরো বলেছেন, ‘২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর সম্পূর্ণ কর মুক্ত রেখে নিম্নস্তরের সিগারেটের ওপর কর বৃদ্ধি করে শিল্প রক্ষা ও শ্রমিকদের কর্মস্থানের নিশ্চয়তা রাখতে হবে।’

সম্প্রতি এনজিওদের প্রাক-বাজেট আলোচনা ও এনবিআরের পরমার্শক সভায় অর্থমন্ত্রী বিড়ি শিল্প নিয়ে বলেছেন, ‘দুই বছরের মধ্যে বিড়িকে বিদায় করতে চাই।’ বিড়ি শ্রমিক নেতারা অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘অর্থমন্ত্রীর মতো একজন বিচক্ষণ ও দায়িত্বশীল মন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্যে আমরা হতাশ হয়েছি। সিগারেট ও বিড়ি একই গোত্রীয় পণ্য হওয়া সত্ত্বেও সিগারেটের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক, শ্রমঘন বিড়িশিল্পের জন্য হুমকি স্বরুপ।’ তারা এ বক্তব্য প্রত্যাহারের পাশাপাশি শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে একই দাবিতে সিলেটে অর্থমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শ্রমিকরা। এ ছাড়াও কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, শেরপুর, ভৈরব, কুষ্টিয়া, খুলনা, টাংগাইল, বগুড়া, গাইবান্ধা, পটুয়াখালি, বরিশাল, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে স্মারক লিপি প্রদান করেছে বিক্ষুব্ধ বিড়ি শ্রমিকরা। যশোরের সাতক্ষীরা মোড়েও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বিড়ি শ্রমিকরা।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/মে ২৩, ২০১৭)