দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাতের আঁধারে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য অপসারণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ। শুক্রবার সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য সমর্থনের আশায় বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে আপোস করছে। যা আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়ানক বিপর্যয় ডেকে আনছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, হেফাজতে ইসলামের চিঠির প্রেক্ষিতে স্কুল পাঠ্যপুস্তক থেকে প্রগতিশীল ও অমুসলিম লেখকদের লেখা বাদ দেওয়া, কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে মাস্টার্স এর সমমান প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে হেফাজতসহ অন্যান্য সাম্প্রদায়িক শক্তির তথাকথিত আন্দোলনের হুমকিতে ভীত হয়ে সরকার হাইকোর্টের সামনে স্থাপিত ভাস্কার্য অপসারণ করেছে। যা বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে নতি স্বীকারের নিদর্শন।

নেতৃবৃন্দ সরকারের এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য সমর্থনের আশায় বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে আপোষের যে পথে গেছে তা আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়ানক বিপর্যয় ডেকে আনছে। সরকার পুলিশ দিয়ে ঘেরাও করে ভাস্কর্য অপসারণ করেছে। আবার এ অপকর্মের প্রতিবাদ করায় পুলিশ জলকামান, টিয়ার গ্যাস মেরে, লাঠিচার্জ করে প্রতিবাদকারীদের উপর নিপীড়ন চালিয়েছে। পুলিশ বিক্ষোভ মিছিল থেকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী এবং ঢাকা কলেজ সংসদের সভাপতি মোর্শেদ হালিমসহ ছাত্রনেতাদের গ্রেফতার করে।

নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গ্রেফতারকৃত ছাত্রনেতা লিটন নন্দী ও মোর্শেদ হালিমের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন।

(দ্য রিপোর্ট/সাআ/কেআই/এনআই/মে ২৬, ২০১৭)