দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : মিসরের বিমানবাহিনী লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে জিহাদিদের ক্যাম্প লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেছেন, কপটিক খ্রিস্টানদের ওপর হামলার জবাবে ‘সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ শিবিরে’ পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, সিসি বলেছেন, কপটিক খ্রিস্টানদের ওপর হামলা চালানো বন্দুকধারীরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেরনা শহরের ক্যাম্পে তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছে।

হামলার পর তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের শিবিরের ওপর হামলায় তিনি কোনো ধরনের দ্বিধা করবেন না।

এক টেলিভিশন বার্তায় প্রেসিডেন্ট সিসি বলেন, সন্ত্রাসীদের এই হামলা মিসরীয়দের বিভক্ত করতে পারবে না, তিনি তার দেশকে রক্ষা করবেন। অপরাধীদেরও শাস্তি দেবেন।

প্রেসিডেন্ট সিসি আরও বলেছেন, ‘মিসরের অর্থনীতি, সামাজিক শান্তি নষ্ট করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা সব সময় একত্রিত ও সক্ষম থাকব। এটা শুধু মিসরের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা যুদ্ধে লড়াই করছি তা নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য এটি করছি।’

এমন অশুভ শক্তিকে মোকাবিলা করার জন্য পুরো বিশ্বকে একত্রিত হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।

অশুভ শক্তির কাছ থেকে মিসরের নাগরিকদের সুরক্ষার প্রতিজ্ঞা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

যেসব দেশ সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দেয় তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট সিসি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এ বিষয়ে সাহায্যের আহ্বানও জানান তিনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সেনাবাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, লিবিয়ায় যে জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে তারা মিশরে কপটিক খ্রিস্টানদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত।

যদিও ওই হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি, তবে সম্প্রতি মিসরে কপটিক খ্রিস্টানদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যেগুলোর দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী বা আইএস।

কায়রোর দক্ষিণে মিনিয়া প্রদেশে একটি খ্রিস্টান মঠ দেখতে যাচ্ছিল কপটিক খ্রিস্টানরা, তখন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে বন্দুকধারীরা। এতে ২৮ জন নিহত হয় এবং আহত হয় ২৫ জন।

এর আগে গত ৯ এপ্রিল তান্তা ও আলেক্সান্দ্রিয়ায় চার্চ লক্ষ্য করে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এআরই/এনআই/এম/মে ২৭, ২০১৭)