রাশিয়ায় চিংড়ি রফতানির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের উদ্যোগ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাশিয়ায় চিংড়ি রফতানির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। চিংড়ি রফতানি অব্যাহত রাখতে বৃহস্পতিবারের মধ্যে চিঠিসহ দেশটিতে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে। এ ছাড়া রফতানি অব্যাহত রাখতে সকল সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির রাষ্টদূত।
সচিবালয়ে বুধবার রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার এ নিকোলাভের সঙ্গে বৈঠক শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ থেকে চারটি প্রতিষ্ঠান রাশিয়ায় চিংড়ি রফতানি করে। মান রক্ষা করতে না পারায় গত অক্টোবর থেকে রাশিয়ায় চিংড়ি রফতানি বন্ধ আছে।
মন্ত্রী বলেন, একটি শর্তের কারণে গত অক্টোবর থেকে রাশিয়ায় চিংড়ি রফতানি বন্ধ আছে। বাংলাদেশ গ্রীষ্মপ্রধান দেশ, রাশিয়া শীতপ্রধান দেশ। গ্রীষ্মপ্রধান দেশ হিসেবে আমাদের চিংড়িতে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ একটু বেশি।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার নির্ধারিত মান অনুযায়ী চিড়িংর বেশির ভাগ আইটেমে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারবে না। কোনো কোনো আইটেমে খুবই সামান্য পরিমাণে থাকতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, এ শর্ত সংশোধন করে চিংড়ি রফতানি অব্যাহত রাখতে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হবে। তিনি এ চিঠি তার সরকারের কাছে পৌঁছে দেবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাশিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে চিংড়ি রফতানির ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরবেন।
ছায়েদুল হক বলেন, আমি আশাবাদী রাশিয়ায় চিংড়ি রফতানি অব্যাহত থাকবে। চারটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যরা রাশিয়ায় চিংড়ি রফতানির যোগ্য এ কথাও রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়েছে। এ জন্য যা যা করা দরকার তা করবেন বলে আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।
প্রতি বছর গড়ে ৮০ হাজার মেট্রিক টন মাছ রফতানি করা হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে ৫০ হাজার টনের মতো চিংড়ি রফতানি হয়।
তিনি আরও জানান, ২০১০-১১ অর্থবছরে রাশিয়ায় এক হাজার ২১০ টন, ২০১১-১২ অর্থবছরে এক হাজার ৯৩৯ টন, ২০১২-১৩ অর্থবছরে তিন হাজার ৯৬ টন এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বন্ধ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এক হাজার ৪১৬ টন চিংড়ি রফতানি হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এমএআর/আরকে/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)