দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি দুনীর্তি মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

 

রবিবার (২৮ মে) হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ।

এর ফলে নিম্ন আদালতে খালেদার ওই মামলার কার্যক্রম চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এর আগে গত ২২ মে খালেদা জিয়ার আবেদনের উপর শুনানি শেষে ২৮ মে আদেশের দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলা বাতিলে খালেদা জিয়ার আবেদন ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ। যার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ২০১৬ সালের ২৫ মে প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের রায় প্রকাশের পর একই সালের ২৬ জুন লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রীসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে। শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। পরে এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া।

বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন। একইসঙ্গে মামলা কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন আদালত।

সেই রুলের ওপর ১১ কার্য দিবস ২০১৫ সালের ৩০ আগস্ট মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন (সিএভি) হাইকোর্ট। একই বছর ১৭ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এনটি/মে ২৮, ২০১৭)