দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে প্রস্তুতি ম্যাচে রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে জয় পেয়েছে ভারত। বিরাট কোহলির দলের জয়টা ৪৫ রানের। দ্য ওভালে ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি কিউই ব্যাটসম্যানরা। ৩৮.৪ ওভার খেলে কেন উইলিয়ামসনের দল অলআউট হয় ১৮৯ রানে।

জবাবে ২৬ ওভার খেলে ৩ উইকেটে ১২৯ রান তোলে ভারত। এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। ম্যাচটির বাকি খেলা আর মাঠে গড়াতেই দেয়নি বৃষ্টি। যে কারণে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে নির্ধারিত হয়েছে ম্যাচের ফল।

১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না ভারতের। আজিঙ্কা রাহানে সাজঘরে ফেরেন ৭ রান করতেই। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৮ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি। শিখর ধাওয়ান থেমেছেন ৪০ রানে।

বৃষ্টির আগে বিরাট কোহলি হার মানেননি। অপরাজিত ছিলেন ৫২ রানে। দিনেশ কার্তিককে রানের খাতাই খুলতে দেননি ট্রেন্ট বোল্ট। ধোনি ১৭ রানে ব্যাট করছিলেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে একটি করে উইকেট দখলে নেন টিম সাউদি, জিমি নিশাম ও ট্রেন্ট বোল্ট।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তার সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করতে পারলেন না কিউই ব্যাটসম্যানরা। তারা ভুল পথে পা রাখে ম্যাচের শুরু থেকেই। ভারতীয় পেসারদের আঘাতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড।

৯ রান করতেই মার্টিন গাপটিল ফেরেন সাজঘরে। তিনি শিকার মোহাম্মদ সামির। অপর ওপেনার লুক রনকি ছিলেন ব্যতিক্রম। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনিই। ৬৩ বলে ৬টি চার ও দুটি ছক্কায় রনকির ব্যাট থেকে এসেছে ৬৩ রান। তাকে আউট করেন রবীন্দ্র জাদেজা।

কেন উইলিয়ামসন নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। দলীয় ৬৩ রানের মাথায় নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক (৮) প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সামির বলে রাহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। নেইল ব্রুমকে রানের খাতাই দেননি সামি। কোরি অ্যান্ডারসন করেছেন ১৩ রান।

রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ধরা পড়া মিচেল স্যান্টনার করেন ১২ রান। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম করেন ৪ রান। শেষ দিকে লড়াই করেছেন জিমি নিশাম। ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন কিউই এই অলরাউন্ডার। অ্যাডাম মিলনে করেন ৯ রান। সমসংখ্যক রান আসে ট্রেন্ট বোল্টের ব্যাট থেকেও।

ভারতের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সামি ও ভুবনেশ্বর কুমার। রবীন্দ্র জাদেজা পকেটে পুরেছেন ২টি উইকেট। একটি করে উইকেট ঝুলিতে জমা করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও উমেশ যাদব।

(দ্য রিপোর্ট/এনপিএস/এনআই/মে ২৯, ২০১৭)