দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শিশুদের জরুরি খাদ্যপণ্য গুঁড়ো দুধের বাজারে গুণগত ও মানসম্পন্ন দুধের সরবরাহ বৃদ্ধির নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।

দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে মঙ্গলবার নরুন্নবী চৌধুরীর (শাওন) এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সংসদে এ তথ্য জানান।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘মানসম্পন্ন দুধের সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকদের নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাজারে এ বিষয়ে মনিটরিং ব্যবস্থাও চালু রয়েছে। যথাযথ মানসম্পন্ন গুঁড়ো দুধ আমদানির জন্য আমদানি নীতি আদেশ ২০১২-২০১৫-এর আওতায় বেশ কিছু বিধান মেনে চলা হয়।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমদানি করা গুঁড়ো দুধের তেজষ্ক্রিয়তার সীমা প্রতি কিলোগ্রামে সিজিয়াম ১৩৭-এর ৯৫ বিকিউ পর্যন্ত থাকতে পারবে। গুঁড়ো দুধ খাওয়ার উপযোগী, মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, ক্ষতিকর কোনো দ্রব্য মিশ্রিত নাই এবং সর্বপ্রকার জীবাণুমুক্ত মর্মে রফতানিকারক দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র দিতে হয়। গুঁড়ো দুধ আড়াই কেজি টিন বা ব্যাগইন বক্সে আমদানিযোগ্য। গুঁড়ো দুধের টিনে উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের নাম ও শতাংশ বাংলায় লিখতে হবে। গুঁড়ো দুধের মোড়কে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ বাংলা ও ইংরেজিতে লিখতে হয়। এর মোড়কে ওজন ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ থাকতে হয়।’

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর এক প্রশ্নে উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা অধিকারবিরোধী কার্য প্রতিরোধ এবং ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনজনিত অভিযোগ নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে ৬ এপ্রিল ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯’ প্রণয়ন করা হয়। চলতি বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই আইনের বিভিন্ন ধারায় মোবাইল টিমের মাধ্যমে সাত হাজার ৯২৩টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোট সাত কোটি ৪৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ/এমএআর/সা/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)