যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত : শ্রিংলা
চট্টগ্রাম অফিস : বাংলাদেশে ‘মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ভারত সরকারের পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী বৃহস্পতিবার (১ জুন) অনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। সকালে চট্টগ্রাম বন্দরে ৫ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করা ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ ‘আইএনএস সুমিত্রা’ থেকে হস্তান্তর করা ত্রাণের মধ্যে রয়েছে -শুকনা খাবার (প্যাকেট), কম্বল, তাঁবু ও ঔষধ সামগ্রী।
এর আগে সকাল ৭টায় ভারতীয় জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী, বন্দরের সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপটেন জুলফিকার আজিজ, চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তারা জাহাজটিকে স্বাগত জানান।
পরে ভারতীয় নৌ কর্মকর্তারা অানুষ্ঠানিক ভাবে ত্রাণ সামগ্রী জেলা প্রশাসকের হাতে হস্তান্তর করেন।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, প্রতিবেশী ও অকৃত্রিম বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে ভারত যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, এসব ত্রাণ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক্রমে চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী, কক্সবাজার মহেশখালী, টেকনাফসহ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সমূহে বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আরও একটি ভারতীয় জাহাজ ২/৩ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে আসবে।
ত্রাণ হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার সুমনাথ হাওলাদার, বিএনএস ঈশা খাঁর কমান্ডিং অফিসার কমডোর মুসা, আইএনএস সুমিত্রা জাহাজের কমান্ডিং অফিসার এসপি শ্রিশান, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপটেন জুলফিকার আজিজ, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল আবদুল গাফফার, পরিচালক (পরিবহন) গোলাম ছরওয়ার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো.মমিনুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুকুর রহমান সিকদার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শঙ্কর কুমার বিশ্বাসসহ নৌবাহিনী, বন্দর কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার সূত্রে জানা গেছে, ত্রাণ সামগ্রী ছাড়াও ভারতীয় এ জাহাজ সাগরে নিখোঁজ হওয়া ৩৩ বাংলাদেশি মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করেছে। কক্সবাজরের মহেশখালী এলাকা থেকে উদ্ধারকরা হয়েছে দুটি নৌকা ও একজনের মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধারকৃতদের বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া সকল মাঝির বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকায়। এছাড়া উদ্ধার হওয়া মৃত মাঝির নাম আবু সৈয়দ সাইফুল (৩৫)। তার বাড়ি মহেশখালীর পুটিবিলা এলাকায়।
এদিকে জীবিত উদ্ধার হওয়া মাঝিদের মধ্যে কায়সার আলম সাংবাদিকদের কাছে বর্ণনা করেছেন সেদিন (ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়া) করুণ কাহিনী।
তিনি জানান, তাদের সাথে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া আরও অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের লাশ পাওয়া যায়নি। খড়কুটো ধরে অনেক কষ্টে তারা জীবিত ছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এনআই/জুন ০১, ২০১৭)