রেজাউল করিম রনির প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘ভূতের গলির ভূত’ (শিশুতোষ) ও ‘শহীদ জহিরের শেষ সংলাপ ও অন্যান্য বিবেচনা’ (সাহিত্য সমালোচনা)। বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার প্রথম কবিতার বই। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে কথা বলেছেন ওয়াহিদ সুজন

মেলায় কী বই এসেছে...

আমার প্রথম কবিতার বই ‘গোলাপ সন্ত্রাস’ এসেছে। এটা প্রকাশ করেছে আদর্শ প্রকাশনী।

বইয়ের কবিতা সম্পর্কে বলুন-

নিজের কবিতা সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারি না। আপনারা কবিতা ভালোবাসলে ‘গোলাপ সন্ত্রাস’ পড়েন।

প্রথম কবিতার বই প্রকাশের অনুভূতি কেমন

অনুভূতি নিম পাতার মতো। তবে বন্ধু ও পাঠকের ভালোবাসা আমারে অনেক নতুন অভিজ্ঞতার সামনে দাঁড় করাইছে। কবিতার বই করার যে কষ্ট তা আমি ভাষায় বলতে পারব না। আমারে ঘরে-বাইরে নানাভাবে অবহেলা করা হয়। ফলে সব রকম কষ্ট ইতোমধ্যে আমার সয়ে গেছে। এখন আর সমস্যা হওয়ার কথা না। মানুষ কবিকে বুঝতে পারবে এটা আশা করাও বাচ্চামি। যা হোক আমি নিজের কাছে নিজে ফিরবার ক্ষেত্রে আরও যোগ্য হইয়া উঠছি হয়ত। যারা আমারে নানাভাবে বিব্রত করছে তাদের প্রতি শুভকামনা।

সাড়া মিলছে কেমন

কবিতার বই হিসেবে ‘গোলাপ সন্ত্রাস’ একটা নয়া উদাহরণ হইছে। বিক্রির কথা আমি বলতে পারব না। তবে আমি অট্রোগ্রাফ দিতে দিতে মাঝে মাঝে ক্লান্ত হইছি। পাঠক কবিকে যে জায়গা থেকে ভালোবাসে তার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা নাই। বই সবাই বলছে ব্যাপক সাড়া ফেলছে....যা রটে তার কিছু তো ঘটে। প্রকাশক স্বীকার করেছে বই চলছে। আমি আর না বলি। বই না চললেও আমি কবি। বই চললে আমি খুশি। না চললেও আমি লিখব। পাঠক আমার চেয়ে অনেক বেশি বিপ্লবী। তারা তাদের প্রিয় কবিতা কিনছেন। অনেক দূর থেকে এসে বই কিনছেন। দেখা করছেন। আমি কিছুটা অবাক হইছি। যাক সব অবদান আমার পাঠকদের, বই এর ব্যাপারে আমার কোনো অবদান নাই। কবিতা লেখা ছাড়া আমি আর কিছুই করিনি। বাকিটা অন্যরা করেছেন।

সামনে কী লিখতে চান?

সামনে অনেকগুলা লেখা পাইপ লাইনে আছে। আর কবিতা তো লেখি না। কবিতা আসে ধরে রাখি। ওটা সহজাত। অন্য নানা লেখার আয়োজন চলছে। কিছুদিনে মধ্যেই বের হবে প্রবন্ধের বই ‘গণহত্যার রাজনীতি : ধর্মযুদ্ধে প্রবেশ’… এটার কাজ চলছে। আরও কিছু লেখা হাতে আছে। লিখছি।

সার্বিকভাবে মেলা নিয়ে বলুন...

মেলা ভাল হইতাছে। এখন কোনো ঝামেলায় পড়ে নাই। আর মেলার ব্যাপারটা আমার কাছে খুব কৌতুককর। খুলে বলি, আমাদের এখানে শিক্ষিত লোকগুলা তো কেরানি ও হীনম্মন্য টাইপের। ফলে এরা যখন আবার বই মেলায় আনন্দে-চেতনায় ফেটে পড়ে তখন খুব মজা লাগে। মেলা নিয়া আমার কোনো চিন্তা নাই। ওটা যারা আয়োজন করবে তাদের কাজ। আমি মেলার কালচারাল মোটিভটা দেখে মজা পাই। এখানকার মধ্যবিত্তদের দেখে করুণা হয়।

আমি মেলাকে পজিটিভ মনে করি, যদি আমরা রাইট কাজটা করতে পারি। মেলার যে পাবলিক গেদারিং পসিবিলিটি এটাকে কাজে লাগাতে হবে। এটা কাজে লাগাতে হলে আমাদের তো আগে কাজের যোগ্য হতে হবে। সব দেখি তারকা হইতে চায়। কাজের দিকে খেয়াল নাই। এখনকার পুলাপাইন খুব পশ্চাৎপদ। ফুর্তিবাজ টেনডেনন্সি বেশি। স্থিতধী শক্তি নিয়ে কাজ করতে পারলে মেলার পসিবিলিটি আমরা কাজে লাগাতে পারব।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এইচএসএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)