‘গত ৫ বছরে সাড়ে ২৪ লাখের অধিক শ্রমিক প্রেরণ’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মোট ১৫৯টি দেশে ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৩ জন কর্মী পাঠানো হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
গোলাম মোস্তফার এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মঙ্গলবার মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিগত পাঁচ বছরে প্রবাসী শ্রমিকদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ৬১ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’
মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে সরকারিভাবে জি-টু-জি প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় এ পর্যন্ত তিন হাজার ২৩ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় গমন করেছেন। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, প্রতি সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভিসা আসছে এবং নিয়মিতভাবে কর্মীদের মালয়েশিয়ায় গমন করছেন।’
আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের এক প্রশ্নের উত্তরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত সৌদি আরবে বৈধভাবে গমনকারী কর্মীর সংখ্যা ২৬ লাখের অধিক। বৈধ কর্মীর পাশাপাশি অবৈধপন্থায় কর্মী গমন অথবা চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে অবস্থান এবং অধিক বেতনের আশায় নিয়োগকর্তার কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমানে সৌদি আরবে অনেক কর্মী অবৈধ হয়ে পড়েছেন। এ সব অবৈধ কর্মীকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য সৌদি সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। বাংলাদেশ সরকারের সফল শ্রম কূটনৈতিক তৎপরতা এবং উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের সফল আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত সংকটের সমাধান সম্ভব হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত আট সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের সৌদি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেছে। প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের আলোকে সৌদি সরকার ওই দেশে অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীদের বৈধকরণ সুবিধা প্রদান করে। এ ছাড়া চলতি বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি হতে বাংলাদেশি কর্মীদের আকামা পরিবর্তনেরও সুযোগ প্রদান করেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রায় আট লাখের অধিক অবৈধ বাংলাদেশি বৈধ হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করেছেন। সেই সময়ে কী সংখ্যক কর্মী বৈধ হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করেননি সে তথ্য সরকারের কাছে নেই।’
(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ/এনডিএস/সা/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)