খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি জেলা সদরের কমলছড়িতে দুটি বিবাদমান পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনায় পাহাড়ী ও বাঙালিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ ঘটনায় চারজন আহত হন।

পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এলাকায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি টহল দিচ্ছে।

পুলিশ জানায়, বাঙালি ছাত্র পরিষদের কর্মীরা জেলা শহরে মানববন্ধন শেষে শ্লোগান দিয়ে ফেরার পথে কমলছড়ি এলাকায় কয়েকজন পাহাড়ী তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরে পুরো গ্রামবাসী এতে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপে চারজন আহত হন।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন- আনন্দ বিকাশ চাকমা (৪৫), আশরাফুল আলম রনি (১৮), অর্নব চাকমা (৪৫) ও জাহাঙ্গীর আলম (৪২)।

ঘটনার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কোনো গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত। ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক সেনা ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কমলছড়িতে সবিতা চাকমা (৩০) নামের এক গৃহবধূ খুন হন। নারী অধিকার সংগঠন, পাহাড়ী আঞ্চলিক সংগঠনগুলো ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। সংগঠনের পক্ষ হতে দাবি করা হয়, কতিপয় ট্রাক্টরচালক ও বালু শ্রমিকরা ধর্ষণের পর ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

এদিকে পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, সবিতা চাকমা ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তে গলাটিপে হত্যা করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

(দ্য রিপোর্ট/এইচএমপি/এমএআর/সা/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)